খালি পেটে ঘি খেলে যা হয়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:২৬:৪১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সব খাবার খালি পেটে খাওয়া যায় না। কিছু খাবার খালি পেটে খেলে তার উপকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। ঘি তেমনই একটি খাবার। যা খালি পেটে খেলে মিলবে বেশি লাভ। ঘি সব সময়ের জন্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি যদি আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান তবে আরও বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন খালি পেটে ঘি খাবেন-
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
ঘিয়ে থাকে প্রাকৃতিক অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিড সাহায্য করে পেটের চর্বি কমাতে। এতে ওমেগা থ্রি, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে কমে অপ্রয়োজনীয় বডি ফ্যাট। যারা অনেক চেষ্টা করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না, তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে ঘি। তবে তা খেতে হবে সকালে খালি পেটে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি কমবে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল।
২. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে ঘি। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে ঘি খেলে তা এই কাজে বেশি সাহায্য করে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে ফ্যাট। আর ফ্যাটের সবচেয়ে ভালো হলো উৎস ঘি। এছাড়াও ঘিয়ে থাকে নানা ধরনের প্রোটিন। তাই নিয়মিত ঘি খেলে মস্তিষ্কে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন পৌঁছে যায়। ফলে বৃদ্ধি পায় মস্তিষ্কের কার্যকারিতা। সেইসঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তিও।
৩. অস্টিয়োপোরোসিস দূরে রাখে
অস্টিয়োপোরোসিসের মতো অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে ঘি। বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টে স্বাভাবিক লুব্রিক্যান্ট হিসাবে কাজ করে এক ধরনের তরল। আপনি যখন খালি পেটে ঘি খাবেন তখন সেই লুব্রিকেন্ট তৈরি হবে এবং এর ফলে জয়েন্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হবে। শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে ঘি।
৪. রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে
নিয়মিত ঘি খেলে তা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এভাবে সকালটা শুরু করলে আপনার সারা শরীরে সারা দিন রক্তসঞ্চালনে বিশেষ সুবিধা হবে। ঘি খাওয়ার এই অভ্যাস শরীরের বিভিন্ন কোষে ফ্রির্যাডিকেল কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে রক্তসঞ্চালন সঠিক থাকায় সুস্থ থাকাও সহজ হয়।
খেয়াল রাখতে হবে যে, সবার জন্য সব খাবার সমানভাবে কাজ করে না। খালি পেটে ঘি খেলে আপনার সত্যিই উপকার হবে নাকি সমস্যা বাড়বে, তা আগে ভালোভাবে জেনে নিন। এক্ষেত্রে কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো।