বিশ্ব নিউমোনিয়া ও প্রিম্যাচুরিটি দিবসের আলোচনা সভা
‘শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশের অর্জন আজ গোটা বিশ্বে প্রশংসিত’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:৪২:০৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, গত ৫০ বছরে শিশুমৃত্যুর হার কমার ক্ষেত্রে দেশে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশের অর্জন আজ গোটা বিশ্বে প্রশংসিত। বাংলাদেশের এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইউনিসেফের সহযোগিতায় বিশ্ব নিউমোনিয়া ও প্রিম্যাচুরিটি দিবস উপলক্ষে ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে এডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি ডা. মির্জা ফজলে এলাহী, সিলেটের সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায় ও সিলেট জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের ফিল্ড অফিসার মুহাম্মদ আবদুল বাকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন শাহপরান (র.) জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মামুনুর রশিদ। অনুষ্ঠান শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ শেখেরগাও জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাসুক আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি ডা. মির্জা ফজলে এলাহী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় ২৬ হাজার ৭৬৬ শিশু। ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের নীচের শিশুদের নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্য স্থির করে সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। এই প্রয়াসের অন্যতম হলো জন্মের প্রথম ছয় মাস বাচ্চাকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে উৎসাহ প্রদান।
মূল প্রবন্ধে মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭৩ হাজার প্রিমিচুরড বা অপরিণত শিশু জন্মগ্রহণ করে। এটা কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সেটা হলো এন্টিন্যাটাল সেস্টিকসটিরিয়ড, ক্যাঙ্গারু মাথার কেয়ার এবং অসুস্থ শিশুর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা।
ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায় বলেন, গর্ভাবস্থায় মায়েদের অপুষ্টি ও অপ্রতুল পরিচর্যার ওপর প্রিম্যাটিচউর নবজাতকের জন্ম অনেকটা নির্ভর করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে।