টেলিগ্রাফের রিপোর্ট
পঁচতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:৪২:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : আভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। প্রায় দ্বিগুন দামে কিনতে হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এদিকে ভারতের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোতে আটকে পড়েছে পেঁয়াজবাহী কার্গো ট্রাক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরাও। ছাড়পত্র না পাওয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে এসব পেঁয়াজ ইতোমধ্যে পঁচতে শুরু করেছে ট্রাকের ওপরেই।
রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের অর্ডার দিয়েছিলেন, তাদের অর্ডার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অপেক্ষায় আছে কমপক্ষে ১০০ কার্গো ট্রাক। অপেক্ষায় থাকা এ পেঁয়াজের পরিমাণ ৩ হাজার টনের ওপরে। এসব পিয়াজ নিয়ে ট্রাকগুলো সীমান্তে আসার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সীমান্তে আটকে যায় ট্রাকগুলো। এসব পেঁয়াজে ইতোমধ্যে পঁচন শুরু হয়েছে এবং দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফের অনলাইন সংস্করণ এ তথ্য জানিয়েছে।
সাংবাদিক শুভাশীষ চৌধুরী এতে লিখেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গের অংশে ট্রাকবোঝাই পেঁয়াজ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে এর দাম বেড়েই চলেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আকস্মিক রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে এসব ট্রাক স্থলবন্দরে আটকে আছে। এতে রপ্তানিকারক এবং ফ্রেটগুলোও লোকসানের মুখে রয়েছে। ভারতের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে উঠে গেছে।
রপ্তানিকারক ও ফ্রেটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে ১০০ কার্গো ট্রাকে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অর্ডার দিয়েছিলেন বাংলাদেশিরা। এ পরিমাণ পেঁয়াজ নিয়ে স্থলবন্দরে পৌঁছামাত্র ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালক আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ৮ ডিসেম্বর।-ইত্তেফাক