বিশ্বনাথে ইটভাটা শ্রমিক হত্যার রহস্য উদঘাটন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:২৮:৫০ অপরাহ্ন
বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বনাথের আলোচিত ইটভাটা শ্রমিক আমিন মিয়া সিয়ামকে (১৬) বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বনাথ থানা কম্পাউন্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান পিপিএম। তিনি আরও জানান, আলোচিত এ ঘটনার আলামত জব্দসহ মূল ঘাতককে গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়। তার নাম আরকুম আলী (৪০)। সে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর (কান্দি) গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মো. আশরাফুজ্জামান পিপিএম বলেন, ‘গ্রেফতারের পর আরকুম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আরকুম জানিয়েছে, একই ইটভাটাতে কাজের সুবাদে সিয়ামের সাথে পরিচয় হয় তার। গত বুধবার ইটভাটায় কর্মরত সিয়ামের পিতা ও বড়ভাই প্রয়োজনীয় কাজে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে গেলে সিয়ামকে বলাৎকারের ফন্দি আটে সে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে ইটভাটার নিকটবর্তী পূর্বপাশের হয়দরপুর হাওরে সিয়ামকে নিয়ে যায় আরকুম। সেখানে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। সিয়াম ঘটনাটি তার পিতা ও ইটভাটার ম্যানেজারকে জানাবে বললে সিয়ামের সাথে থাকা তোয়ালে দিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে।’ তিনি আরও জানান, সিয়ামের পিতার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আরকুম আলীকে গতকাল রোববার সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথে নিখোঁজের তিনদিন পর গত শনিবার দুপুর ১২টায় আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) নামের কিশোরের গলাকাটা লাশ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর এফসি ইটভাটা সংলগ্ন হাওর থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথের এফসি ইটভাটার শ্রমিক সর্দার আকবর আলীর ছেলে। পিতা আকবরের সাথেই শ্রমিক হিসেবে ওই ভাটাতে কাজ করতেন কিশোর সিয়াম ও তার দুই ভাই। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী (৫৩) ও ট্রাক্টর চালক রবিউল ইসলামকে (৪৮) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ওই সময় সিয়ামের পিতা আকবর আলী গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী হত্যা করেছে। ঘটনার দিন রাতেই তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে থানায় মামলা (নাম্বার ৮/১৭৫) দায়ের করেন।