শিখ সম্প্রদায় ও খালিস্তান আন্দোলন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:৫২:৩০ অপরাহ্ন

অ্যাডভোকেট আনসার খান :
এই বছরের জুনে কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকান্ডের পরে আরেক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, যিনি ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থি সংগঠন- ‘শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)’ এর নেতা, যিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সেই গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিলো এবং সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী। ওই দুই শিখ নেতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে শিখদের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিটি আবারও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।
কানাডায় শিখ নেতার এই হত্যাকান্ডের সাথে নয়াদিল্লির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি কানাডা সরকারের এবং যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতার হত্যা চক্রান্তের সঙ্গেও ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন। ভারত সরকার অবশ্য ওই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে।
ভারতের মাটি থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসী শিখ নেতাদের নিয়ে দিল্লির এতো ভয়ের কারণ কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পেছনে যেতেই হবে। জানতে হবে শিখ জনগোষ্ঠীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়, ইতিহাস এবং জানতে হবে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের উত্থান সম্পর্কে। আমাদের জানতে হবে এই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কী চায়, কেন চায় এবং ভারতের নিকট কেন-ই- বা বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে স্বদেশ থেকে অনেক দুরের ওই দুই দেশে থাকা শিখ নেতারা?
শিখ ধর্মের অনুসারীদের ‘শিখ’ বলা হয়। দেবিন্দর সিং চাহালের মতে, ‘শিখী’ শব্দটি, গুরুমত নামে পরিচিত, যার থেকে আধুনিক শিখধর্ম শব্দটি এসেছে। গুরুমত শব্দটির আক্ষরিক অর্থ- ‘গুরুর প্রজ্ঞা।’ শিখ ধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম। সারা বিশ্বের দেশগুলোতে ছড়িয়ে থাকা প্রায় আড়াই কোটি শিখ ধর্মাবলম্বী আছেন এবং ধর্ম বিশ্বাসের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। বর্তমান ভারত ও পাকিস্তানের ভূখ-ের মধ্যে বিভক্ত হয়ে থাকা পাঞ্জাবে এই ধর্মের উত্থান ও যাত্রা শুরু হয়েছিলো ষোড়শ শতকের দিকে। শিখ সম্প্রদায়ের বড় অংশই ভারতে বাস করেন এবং এদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা প্রভৃতি দেশে বসবাস করছেন। তবে কানাডায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ প্রায় সাত লাখ আশি হাজার শিখ রয়েছেন।
উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, ১৬৯৯ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ শিখ ধর্মের রীতিনীতিগুলো বিধিবদ্ধ করেছিলেন। এটির গঠনই ছিলো শিখ ধর্মের ইতিহাস। গোবিন্দ সিং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপটের পাঁচ শিখকে দীক্ষাদানের মাধ্যমে ‘খালসা’ গঠন করেন। এইভাবেই গঠিত হয় বর্তমানে কয়েক শতাধিক বছরের প্রাচীন খালসা ধারাটি। পাঞ্জাবি ভাষায় খালসা মানে ‘খাঁটি।’ অর্থাৎ শুদ্ধ এবং বিকশিত শিখ সম্প্রদায়। খালসার প্রতিষ্ঠা বৈশাখী উৎসবের সময় শিখরা উদযাপন করে। ‘বৈশাখী হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেলা। এটি শিখ নববর্ষকে চিহ্নিত করে। বৈশাখীতে, শিখরা মনে করে কিভাবে তাদের সম্প্রদায়, খালসা প্রথম শুরু হয়েছিলো। (ক্যাথ সেনকার এর আমার শিখ বছর)।
গুরু গোবিন্দ সিং একটি যোদ্ধা হিসেবে খালসা তৈরি ও সূচনা করেছিলেন ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে নিরপরাধদের রক্ষা করার জন্য। উপরন্তু, খালসা শিখ সম্প্রদায়ের জন্য একটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে।(এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা)।
অখ- ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব অঞ্চলে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসতি। ১৯৩০-এর দশকে একটি পৃথক ‘শিখ রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠেছিলো। (পার্টিশন, রাষ্ট্র এবং মনকে পূনর্নিমাণ করা, লেখক বিয়ানচিনি প্রমূখ)। ১৯৪০ সালে, ‘খালিস্তান’ শিরোনামের একটি পাম্পলেটে খালিস্তানের জন্য প্রথম স্পষ্ট আহবান জানানো হয়েছিলো। (৪০ পৃষ্ঠার এই বইয়ের লেখক ডা. ভি এস, ভাট্টিও হাজির)। শিখ প্রবাসীদের আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থনে আন্দোলনটি বিকাশ লাভ করে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে,-যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখদের বাসস্থান।
প্রস্তাবিত ওই খালিস্তানের রাজধানী হিসেবে বর্তমানে পাকিস্তানের লাহোর প্রস্তাবিত হয় এবং ভারতের হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশের অংশ বিশেষ, চন্ডীগড় থেকে উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশ এবং সমগ্র পাঞ্জাব, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখ সম্প্রদায়ের আবাসস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখ- নিয়ে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের প্রস্তাব করা হয়েছে, -যার বাস্তবায়নের জন্য শিখরা আন্দোলন সংঘটিত করে, যদিও জনসমর্থনহীন এই আন্দোলনকে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করেছে ভারত সরকার। তাসত্ত্বেও শিখদের একটি অংশ, যারা সংখ্যালঘু দু’চারজন বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংঘটিত করার চেষ্টা করেছিলো। (ভারতে শিখ ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের পরিস্থিতি, ক্যাটরিনা কিনভাল)। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশক ধরে চলতে থাকা এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ১৯৮০-এর দশকে তীব্র হয়ে ওঠেছিলো।
শিখদের আন্দোলনের অবসানে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সরকার আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে। কিন্তু আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনের জন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১- জুন ১৯৮৪ সালে ব্লু স্টার অপারেশন অভিযান পরিচালনা করা হয় অমৃতসর হরমন্দির স্বর্ণ মন্দির সহ পাঞ্জাবের অন্যান্য শিখ উপাসনালয়গুলোতে, যেখানে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি ছিলো বলে চিহ্নিত করা হয়। এই অভযানে শিখদের প্রধাননেতাদ্বয় ভিন্দ্রানওয়ালে ও শাবেগ সিংহ নিহত হয়েছিলেন। (ইশতিয়াক আহমেদ এর সমসাময়িক দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্র, জাতি এবং জাতিসত্তা। পৃ: ১৩০)। এই সামরিক অভিযানে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে সক্ষম হয়েছিলো দিল্লি। কিন্তু শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখরা পৃথক খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি থেকে সরে এসেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পাঞ্জাবের রাজনীতির গতি-প্রকৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বিদেশে থাকা অভিবাসী শিখদের কিছু কিছু অংশ তাদের আলাদা রাষ্ট্রের দাবিটি জিয়ে রেখেছেন, জোরেশোরে তাদের দাবির স্বপক্ষে প্রচার-প্রচারণাও অব্যাহতভাবে চালিয়ে আসছেন। বিশেষ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসী শিখদের অনেকের মধ্যে এই প্রবণতা বেড়েছে। কানাডায় খালিস্তানপন্হী নিজ্জার হত্যাকান্ড বা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শিখ অভিবাসী পান্নুন হত্যা প্রচেষ্টা তার প্রমাণ বহন করছে।
শিখদের একটি অংশ তাদের ধর্মের ওপর ভিত্তি করে ভারত থেকে বের হয়ে আলাদা একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেটির নাম হবে খালিস্তান। ব্রিটিশ শাসনামলে পাঞ্জাবে দুটি আন্দোলন গড়ে ওঠেছিলো, যার একটি হলো ‘সিং সভা আন্দোলন’- যার লক্ষ্য ছিলো শিখদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার বৃদ্ধি করা এবং শিখদেরকে ধর্মান্তরিত হওয়া থেকে বিরত রাখা। অন্যটি হলো, “আকালি আন্দোলন” বা “গুরুদুয়ারা সংস্কার আন্দোলন”-যার উদ্দেশ্য ছিলো শিখদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারাগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত মোহন্তদের কবল থেকে রক্ষা করা। এই দুটি আন্দোলনের ফলে শিখদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের চেতনা সৃষ্টি হয়েছিলো। তারা ভারত থেকে নিজেদের স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে ভাবতে শুরু করে। এই স্বাতন্ত্রবাদী মনোভাব থেকে শিখদের মধ্যে ক্রমেই জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ধারার সৃষ্টি হয় এবং একসময় শিখদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণার উদ্ভব হয়েছিলো বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার প্রেক্ষিতে শিখদের বসতিস্থল পাঞ্জাব দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং এর একটি অংশ ভারতে, অপর অংশটি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে অসংখ্য শিখ ভারতের পাঞ্জাবে চলে আসায় পাকিস্তানে থাকা শিখরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়। এছাড়াও শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের জন্মস্থানও পাকিস্তানের ভেতরে থেকে যায়। এই বিভক্তির কারণে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিলো এবং শিখরা নিজেদেরকে অনিরাপদ ভাবতে শুরু করে। এসময় ‘পাঞ্জাবী সুবাহ আন্দোলন’ শুরু হয়। এই সুবেহ আন্দোলনের দাবি ছিলো পাঞ্জাবি ভাষার ওপর ভিত্তি করে একটি আলাদা প্রদেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু এই দাবির বাস্তবায়ন হয়নি।
১৯৭৩ সালে খালসা মতাদর্শের জন্মস্থান আনন্দপুর সাহিবে দলের নেতারা জমায়েত হয়ে ‘আনন্দপুর সাহিবে প্রস্তাবনা’ গ্রহণ করেন। ওই প্রস্তাবনার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো খালিস্তান প্রতিষ্ঠা করা। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছিলো, অন্যান্য প্রদেশের কিছু কিছু অংশ নিয়ে গঠিত একটি প্রদেশ প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়াও নতুন গঠিত প্রদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়নের প্রস্তাব তোলা হয়েছিলো আনন্দপুর সাহিবে প্রস্তাবনায়।
তবে শিখদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতা জারনাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং শিখদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার ওই দাবি শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিলো। শিখদের একটি অংশ ভিন্দ্রানওয়ালের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং এর ফলে শিখদের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের মাঝে ভিন্দ্রানওয়ালের বিপুল জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়।
১৯৮২ সালে আকালি দলের নেতৃত্বের সমর্থনে ভিন্দ্রানওয়ালে পাঞ্জাবে আইন অমান্য আন্দোলন গড়ে তোলেন, পাঞ্জাবে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে ওই আন্দোলনের কারণে এবং তৎকালীন ভারত সরকার আইন অমান্য আন্দোলনকে- ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে অভিহিত করে এবং আইন অমান্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী ‘অপারেশন ব্লু স্টার’ অভযান পরিচালনা করে, যা নিবন্ধের অন্য অংশে বর্ণনা করা হয়েছে।
বাস্তবতা হলো স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ক্রমাগত সহিংসতা, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধীর হত্যাকান্ড, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-ের সাথে শিখ খালিস্তানপন্থিদের জড়িত থাকার দরুন ভারতের বিপুল সংখ্যক শিখদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। বরং খালিস্তান আন্দোলন একটি সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে শিখ সম্প্রদায় সেই আন্দোলনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ভারত সরকারও এটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সূত্র : বিবিসি নিউজ, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, উইকিপিডিয়া।
লেখক : আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক।