ভোট বর্জনের ঘোষণা মোকাব্বির-ইয়াহইয়া-মুহিবের
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৫:৫৮:৩২ অপরাহ্ন
![ভোট বর্জনের ঘোষণা মোকাব্বির-ইয়াহইয়া-মুহিবের ভোট বর্জনের ঘোষণা মোকাব্বির-ইয়াহইয়া-মুহিবের](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2024/01/Sylhet-2-1.jpg)
অনলাইন ডেস্ক : সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে ভোটচুরি করছেন অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ও তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক।
সিলেট-২ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীর (এহিয়া) পর এবার আরও তিন এমপি প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
রোববার দুপুর ২টায় আসনের ওসমানীনগরে সাংবাদিকদের কাছে তারা একসঙ্গে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভোট বর্জনকারী তিন এমপি প্রার্থী হলেন- বর্তমান এমপি ও গণফোরামের সূর্য প্রতীকের প্রার্থী মোকাব্বির খান, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রব মল্লিক ও ট্রাক প্রতীকের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথের মেয়র মুহিবুর রহমান।
তাদের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষের দলীয় লোকজন জোর করে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে টেবিল কাস্টিং করছেন। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় তারা একসঙ্গে ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান।
এর ঘণ্টা খানেক পূর্বে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী (এহিয়া) ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে ওসমানীনগরে তারা চারজন প্রার্থীই একসঙ্গে বসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সাংবাদিকদের জানান।
ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে, জাল ভোট দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কিংবা প্রিজাইডিং অফিসার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, বরং লিখিত অভিযোগ দিতে বলছেন। এমনকি একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন সাময়িক বন্ধ রাখার পর নৌকার প্রার্থী এসে ভোটগ্রহণ শুরু করে দেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে থাকা সম্ভব না, তাই আমি প্রত্যাহার করছি।’
মোকাব্বির খান বলেন, ‘যেভাবে জোর করে আমার ও অন্য দুইজন প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হচ্ছে, এর পরে নির্বাচনে থাকা যায় না। আমি নির্বাচন বর্জন করছি এবং দ্রুত প্রেস কনফারেন্স করে বিস্তারিত জানাবো।’
মুহিবুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির এমপিকে রীতিমতো জিম্মি করে নৌকার প্রার্থী টেবিল কাস্টিং করেছেন। আমি আরও কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবো, আমিও বর্জনের দিকেই যাচ্ছি।’