সিলেটে সাত জেলার ইমামদের প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন স্মার্ট ইমামরা: সিসিক মেয়র
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ৭:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যাশিত নাগরিক গড়ে তুলতে হলে আমাদের ইমামদের সার্বিকভাবে চৌকস হয়ে উঠতে হবে। যেহেতু ইমাম ও খতিবদের বয়ানে মানুষ প্রভাবিত হয়, তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত স্মার্ট ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সাত জেলার ইমামদের ৪৫দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল হল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে জীবনমুখী প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতি শুক্রবার দেশের প্রায় চার লাখ মসজিদের মিম্বর থেকে শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী পৌছে দিচ্ছেন ইমাম ও খতিবরা। তারা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সমাজে সচেনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, ইউনিসেফের সিলেট প্রতিনিধি শেখ আলী হায়দার আজম ও এমসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তৌফিক ইয়াজদানী চৌধুরী।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের নুরানী প্রশিক্ষক মাওলানা নাসির উদ্দিন, প্রশিক্ষণার্থী ইমাম মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা আল আমীন, মাওলানা আমির হামজা ও মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ।
সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চলমান ব্যাচটি প্রশিক্ষণার্থী ইমামদের ১১৩২ তম ব্যাচ। সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ধারাবাহিকভাবে দেশের ইমামদেরকে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইমামরা দ্বীনি কর্মকান্ডে নেতৃত্বদানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।