ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করলেন মোদী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : বহু বিতর্কের পর অবশেষে ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মন্দিরটি যেখানে তৈরি হয়েছে, সেটা ভারতের সব থেকে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানগুলির অন্যতম। ওখানেই একসময়ে ছিল ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি বাবরি মসজিদ।
রাম মন্দির ধ্বংস করে ওই মসজিদ গড়া হয়েছিল, এই দাবি তুলে হিন্দু জনতা ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙ্গে দিয়েছিল। তারপরে সারা দেশে শুরু হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, অভিযোগ তাতে মারা গিয়েছিলেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
গতকাল সোমবার রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশ-বিদেশের অতিথিরা- যাদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে শিল্পপতি, খেলা ও চিত্রজগতের তারকারাও ছিলেন।
যদিও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ এবং বিরোধী দলগুলোর নেতাদের প্রায় সবাই এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন এই অভিযোগ তুলে যে মি. মোদী রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য একে ব্যবহার করছেন।
ভারতে কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মন্দিরের নামে ভোট সংগ্রহের চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জায়গাটি একটি ট্রাস্টকে দেওয়া যেতে পারে এবং সেখানে একটি রাম মন্দির তৈরি করা যেতে পারে।
একইভাবে, উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বলা হয় যে, তাদেরকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে, যেখানে তারা একটি মসজিদ তৈরি করতে পারবে।
রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়। যদিও মসজিদের কাজ এখনো শুরু হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, সেটি বাস্তবায়ন হবে কবে?
হিন্দু বিশ্বাস মতে অযোধ্যা তাদের দেবতা রামের জন্মভূমি। আজকের রাম মন্দিরের স্থলে ১৬ শতকে মোগল শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল বাবরি মসজিদ। এটি নিয়ে ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দু ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের।
হিন্দুদের দাবি, রাম যেখানে জন্মেছিলেন ঠিক সেই জায়গায় একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপরে মুসলিম ‘আক্রমণকারীরা’ বাবরি মসজিটটি নির্মাণ করেছিল। ১৯৯২ সালে কট্টরপন্থি হিন্দু জনতা মসজিদটি গুড়িয়ে দেয়। যার জেরে সৃষ্ট দাঙ্গায় প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়। নিহতদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিলেন।