বাসা মালিকরা সাবধান
ফ্ল্যাট ভাড়া না দিয়ে উল্টো নগদ কয়েক লাখ টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে পালালো প্রতারক পরিবার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ৩:৩০:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট নগরীর কুমারপাড়া ঝেরঝেরিপাড়াস্থ এভারগ্রীণ এলাকায় ফার্নিচারসহ বাসা ভাড়া নিয়ে চার মাস অবস্থান করে ভাড়া না দিয়ে উল্টো পবিত্র ওমরাহে পাঠানোর কথা বলে টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়েছে এক পরিবার। এ ঘটনায় কতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফটো সাংবাদিক আব্দুর রব পাপ্পু। তিনি নগরীর কদমতলী গঙ্গানগরের মৃত ফকির মো: আব্দুল হকের পুত্র। পলাতক প্রতারক পরিবারকে সনাক্ত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঝেরঝেরিপাড়াস্থ এভারগ্রীণ ৩৭/এফ এর ২য় তলাস্থ ফ্ল্যাটটি দেখাশোনা করেন আব্দুর রব পাপ্পু। বাসাটির মালিক একজন প্রবাসী হওয়ায় পাপ্পু বাসাটির দেখাশোনা করেন এবং ভাড়া দেয়া থেকে নিয়ে ভাড়া আদায় সকল কার্যক্রম চালান। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফার্ণিচারসহ ফ্য¬াটটি ভাড়া নেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় আব্দুল মোতালেব ওরফে রবিউল চৌধুরী নামক ব্যক্তি।
তার ঠিকানা মুক্তিকলা, থানা বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ বলে উল্লেখ করে। এ সময় চুক্তিপত্র সম্পাদনকালে তার এনআইডি চাইলে সে পরে দিচ্ছি বলে জানিয়ে তার পরিবারের গ্রুপ ছবি দেয়। ঐ সময় একমাসের ভাড়া ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। এরপর আব্দুর রব পাপ্পুর সাথে সম্পর্ক গভীর করতে থাকে। পাপ্পু তাবলীগ জামাতের অনুসারী হওয়ায় তাকে ও তার অপর স্বজনদের কম টাকায় ওমরাহে পাঠানোর কথা বলে ৭০ হাজার টাকা এবং আব্দুস শুকুর ও ইমন আহমদ নামের দু’জনের পাসপোর্ট হাতিয়ে নেয় কথিত রবিউল।
অন্যদিকে প্রথম মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বাকি টানা তিন মাস আর ভাড়া দেয়নি। দিচ্ছি, দিবো বলে একপর্যায়ে গত ৭ জানুয়ারি ফ্ল্যাটের দরজা খুলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আব্দুর রব পাপ্পু কতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এব্যাপারে আব্দুর রব পাপ্পু রবিউলকে সনাক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাসা মালিকদের সচেতন থাকার আহবান জানান।
কতোয়ালী থানার ওসি মঈন উদ্দিন শিপন জানান, একটি অভিযোগপত্র তিনি পেয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্তনাধীন বলে জানান তিনি।
এদিকে, কথিত চিশতি তরিকার অনুসারী প্রতারক মোতালেবের বিরুদ্ধে ঢাকায় তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র। বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদে উল্লেখ করা হয়, মোতালেব চাকুরির প্রলোভন ও নৌকার মনোনয়ন দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।