গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি
গ্যাস সংকটে সিলেটের সিএনজি পাম্পে শত শত গাড়ির দীর্ঘ লাইন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:৩১:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। গত কিছুদিন থেকে গ্যাসের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ছে। গাড়ির লাইন পাম্প ছাড়িয়ে বাজার ছাড়িয়ে লোকালয়ে চলে যাচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক গাড়ি গ্যাস পাচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্যাস না পেয়ে চালকদের অনেকে দিশেহারার মতো আচরণ করেন বলে জানান পাম্পকর্মীরা। যাত্রীরাও চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মূলত ফিলিং স্টেশনে এক মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, পাম্পগুলোর জন্য প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস বরাদ্দ (লিমিট) দেয়া হয়। সেই বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে সেই পাম্প পরবর্তী মাস না আসা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হয়। ফলে যেসব পাম্প তখনো খোলা থাকে সেই সব পাম্পে গ্যাসের জন্য গাড়ির প্রচন্ড চাপ তৈরি হচ্ছে। শত শত গাড়ির লাইন অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায়। গাড়ি চালকের সাথে যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দিনের অনেকটা সময় গ্যাস নিতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান চালকরা।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন পরিচালনার সাথে জড়িত এক ব্যবসায়ী জানান, ২০২৪ সালে এসেও সিলেটের সিএনজি পাম্পগুলো ২০০৭ সালে নির্ধারিত বরাদ্দ অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছে। অথচ ২০০৭ সালের পর ২০২৩ সাল পর্যন্ত গাড়ির সংখ্যা ও মানুষের চলাচল ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, সেই ২০০৭ সালের ডিমান্ড অনুযায়ী। ফলে মাসের শেষের দিকে এসে ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সংকট দেখা দিচ্ছে। বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অনেক বার চিঠি লেখা হয়েছে কিন্তু কোন সুফল আসেনি বলে জানান তিনি।
সিলেট বিভাগীয় সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, মাসের ১৫ তারিখের পরেই গ্যাস পাম্পগুলোর সরবরাহ কমতে শুরু করে। শেষ দিকে এসে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। যেসব পাম্পে গ্যাস থাকে সেগুলোতে প্রচন্ড ভিড়ের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অনেক আন্দোলন ও চিঠি চালাচালি করা হলেও এখনো কোন সুফল পাওয়া যায়নি। জ্বালানি উপদেষ্টা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকের সাথে আলোচনা হয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা সিএনজি পাম্পগুলো থেকে চাহিদাপত্র নিয়েছিল। কিন্তু পরে কিছুই হয়নি। তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ গ্যাস সিলেট থেকে গ্রিডে সংযোজন হচ্ছে। কিন্তু সিলেটে গ্যাস সংকটে সিএনজি পাম্পগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। তিনি পাম্পগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।