দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা
সিলেট নগরীতে ইঞ্জিনচালিত কোন রিক্সা চলাচল করবে না
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৩:০১:১১ অপরাহ্ন
পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে ॥ এসএমপি কমিশনার
ডাক ডেস্ক ॥ সিলেট নগরীতে ইঞ্জিনচালিত কোন রিক্সা চলাচল করতে পারবে না জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম। মহানগরীর বিভিন্ন বাজারকে সিসিটিভির আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও সবজি বহনকারী যানবাহনে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে তাদের মোবাইল টিম কাজ করবে।
গতকাল মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসএমপি হেডকোয়ার্টার্স কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ৬ থানার অফিসার ইনচার্জ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এবং সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি একটি জাতীয় ইস্যু। সিলেট মহানগরী এলাকায় দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান এবং এর পেছনে কোন কোন শক্তি রয়েছে-সেগুলো পর্যালোচনা করে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং পণ্যবাহী গাড়ি ছিনতাই কাজে যে জড়িত থাকবে-তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি আরো বলেন, সোবহানীঘাট পাইকারি সবজি মার্কেট সিলেট মহানগরীর যানজট সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ। ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি বলেন, রাত ১০টা থেকে পণ্যবাহী যানগুলো মহানগর এলাকায় প্রবেশ করবে এবং সকাল ৮টার মধ্যে কাঁচামাল ও সবজি পরিবহনকারী বড়যানগুলো পণ্য খালাস সম্পন্ন করবে।
ছোট ট্রাক এবং ঠেলাগাড়ি সকাল সাড়ে ৮টায় মধ্যে তাদের কার্যক্রম শেষ করবে। বাজারে প্রতিটি দোকানে যাতে মূল্যতালিকা প্রদর্শন করা হয় এবং পাকা রশিদ প্রদান করা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
এসএমপি কমিশনার যে সব দোকানে অতিরিক্ত দাম রাখা হয়-সেসব দোকানীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর ও দক্ষিণ এবং ৬ থানার অফিসার ইনচার্জকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং অন্য কোনভাবে হয়রানির অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।