হাকালুকি হাওরে সূর্যমুখীর হাসি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৫:২৯:৩২ অপরাহ্ন
মো: সামছুল ইসলাম, জুড়ী (মৌলভীবাজার) থেকে : এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের জুড়ী অংশে এখন যেন এক হলুদ ফুলের রাজ্য। সারি সারি সূর্যমুখী গাছের ডগায় বড় বড় ফুলে হলুদের সমারোহ। বিস্তীর্ণ এলাকায় সূর্যমুখী ফুলের হলুদ সা¤্রাজ্য দৃশ্য সহজেই মানুষকে কাছে টানে। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাওর পারে ভিড় করছেন পর্যটকরা।
চাষিরা বলেন, সূর্যমুখী চাষ করার পদ্ধতি মোটামুটি সহজ। প্রতি বিঘা জমিতে তিন কেজি বীজ, সামান্য সার ও কীটনাশক হলেই পর্যাপ্ত। সবকিছু মিলিয়ে খরচ হয় ৪/৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে কৃষকের লাভ ভালো হয়। তাই, কৃষকরা দিন দিন এটা চাষে ঝুঁকছেন।
হাকালুকি হাওরে সূর্যমুখীর বাগান দেখতে আসা পর্যটক কলেজ ছাত্র আবুল হোসেন ও কামরুল ইসলাম বলেন, পড়ন্ত বিকেলে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে তারা হাকালুকি হাওরে এসেছেন। হাকালুকি হাওর এলাকায় তেলবীজ হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ যেন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সরকারি সহায়তায় অল্প ব্যয়ে প্রচুর লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সূর্যমুখী বাগান দেখতে আসা হাওর বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি ইমরুল ইসলাম বলেন, হাওরের বুকে সূর্যমুখীর ফুলগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে। তবে হাওরে আসার রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় খুবই কষ্ট হয়। হাকালুকি হাওরে সূর্যমুখী চাষী কামরুল ইসলাম ও সাইফুর রহমান বলেন, হাকালুকি হাওরের পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফলনও খুবই ভাল হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে পরামর্শের পাশাপাশি বিনামূল্যে বীজ পেয়েছেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সূর্যমুখী চাষ আরোও সম্প্রসারণ করব।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, প্রণোদনার আওতায় জুড়ীতে ২৩০ জন কৃষক সুর্যমুখী চাষ করেছেন। এবার উপজেলায় থেকে ২৩০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত সূর্যমুখীর মধ্যে হাইসান-৩৩, আরডিএস ২৭৫ জাতের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহমুদুল আলম খান বলেন, জুড়ী উপজেলায় মোট ২৩০ বিগা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে কৃষকরা যাতে লাভবান হয় সেই লক্ষে সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। সূর্যমুখী ভোজ্য তেল হিসেবে গুণগত মানের দিক থেকে বেশ ভালো বলে জানান তিনি।