গ্রেফতার ৮
জমি নিয়ে বিরোধে ওসমানীনগরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০২:০৮ অপরাহ্ন
![<span style='color:#000;font-size:18px;'>গ্রেফতার ৮</span><br/> জমি নিয়ে বিরোধে ওসমানীনগরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা <span style='color:#000;font-size:18px;'>গ্রেফতার ৮</span><br/> জমি নিয়ে বিরোধে ওসমানীনগরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2024/02/Chchato-vai-killed-768x479.jpg)
ওসমানীনগর (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ওসমানীনগরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হাতে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। হামলায় মহিলাসহ আরো ৮ জন আহত হয়েছেন। থানাপুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বেতখাই গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে শাহিন মিয়া (৩০) ও জবলু মিয়া, একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাদশা (৫০), আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. আব্দুল কাদির (৫০) ও তজমুল আলী, সিরাজুল ইসলাম বাদশার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৩৩), আব্দুল গণির স্ত্রী আফিয়া বেগম (৪০), আব্দুল কাদিরের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫)।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই মো. নুরুল হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২-৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৪।
আহতরা হলেন, জিলু মিয়া, তার স্ত্রী হেনা বেগম, ছেলে রাসেল মিয়া, জাকির মিয়ার ছেলে মাহিদ ও নুরুল, ঝুনু মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম, শফিক মিয়ার মেয়ে হাছনা বেগম ও নাজমা বেগম। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের বেতখাই গ্রামে অতর্কিত হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন বেতখাই গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তÍুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে জিলু মিয়া ও আনোয়ার হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার জিলু মিয়া তার মেয়ের কবর জিয়ারত করে প্রতিপক্ষের ঘরের সামন দিয়ে আসার সময় তাকে মারপিট করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দেয়ার জন্য রোববার দিন তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু, মীমাংসার পূর্বেই গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় জিলু মিয়াসহ অন্যরা ঘুমে থাকাবস্থায় গণি মিয়া, বাদশা মিয়া , কাদির মিয়া, শাহিন মিয়া ও সুমন মিয়া ও অন্যদের নেতৃত্বে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তাদের ঘর-দরজা ভাঙচুর করে নারী-পুরুষকে টেনে বাইরে বের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা আহত রাসেলের পায়ুপথ দিয়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়। হামলার সময় আনোয়ার হোসেন গরু চরাতে বাড়ির নিকটবর্তী মাঠে ছিলেন। প্রতিপক্ষ সেখানে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন মারা যান। এছাড়া আহত রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।