পুকুর-জলাশয় ভরাট করে সিলেটে বাড়ি-ঘর নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২:৫২:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে পুকুর জলাশয় ভরাট করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট নগরীর জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তা না হলে আমরা ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাবো। মন্ত্রী হাইরাইজ ভবন বানানোর সময় আরবানাইজেশন ফিলোশপি মেনে চলার তাগিদ দেন। আগামী নতুন স্থাপনা বানানোর ক্ষেত্রে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ তার। এটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির তাগিদ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমাদেরকে নগরীতে রিজার্ভারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে বক্স কালভার্টের নিচের অংশ পাকা না করারও আহ্বান জানান তিনি। জলাধারের শ্রেণী পরিবর্তন না করার ওপরও গুরুত্বারোপ করে তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনের আকার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন-স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, যুগ্ম সচিব নুরে আলম সিদ্দিকী, উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। সভা উপস্থাপনা করেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী। সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান এ সময় একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
এর আগে মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, সিলেটের উন্নয়নের সরকার সবসময় আন্তরিক। সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও সিলেটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন সঠিক লোককে লন্ডন থেকে এনে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার লোকের বড়ই অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দায়িত্বশীল মানুষ।
তিনি বলেন, যে যাই বলুক না কেনো তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। কথা হওয়ার পরে আমি বুঝতে পেরেছি, একজন সঠিক ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী খুঁজে বের করেছেন। আমি মনে করি এরকম একজন লোককে দায়িত্ব দেয়ার জন্য সিলেটবাসী অনেক সৌভাগ্যবান।
একটি পরিচ্ছন্ন স্মার্ট সিলেট নগরী গড়তে মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.) এর স্মৃতিবিজড়িত আধ্যাত্বিক এই নগরীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আলাদা মূল্যায়ন করেন, এজন্য তিনি এবারও নির্বাচনী কার্যক্রম সিলেট থেকেই শুরু করেছেন। এই নগরীর উন্নয়নে সরকার থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
ওয়াকওয়ে পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সহ সিসিকের কাউন্সিলর ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন। সন্ধ্যা ৬টায় তিনি বিমানযোগে সিলেট ত্যাগ করেন।