জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে আরও দুটি কূপের উদ্বোধন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৫:২৫:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের ২টি কূপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সঞ্চালন শুরু হয়েছে। কূপ দুটি থেকে প্রতিদিন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কোম্পানি। এ দুটি কূপ যুক্ত হওয়ায় শুধু রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকেই জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়ালো ৬৬ মিলিয়ন ঘনফুটে।
গতকাল রোববার দুপুরে রশিদপুরের গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরিদর্শন শেষে রশিদপুর-২ ও রশিদপুর-৯ নম্বর কূপের উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সংযুক্তির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি জানান, ২ নম্বর কূপটি থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে। এছাড়া গ্যাসের বর্তমান গড় মূল্য বিবেচনায় এ কূপে উত্তোলনযোগ্য ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
একই সাথে ৫ বছর আগে খনন শেষ হওয়া রশিদপুরের ভার্টিকাল-৯ নম্বর কূপেরও উৎপাদিত গ্যাসের প্রসেসপ্ল্যান্টে সংযোজনের উদ্বোধন করেন তিনি। জানান, এখান থেকেও দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে ৭১৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে আর অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ রয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ বিলিয়ন ঘনফুট।
এখনো গ্যাস মজুতের বড় ভরসা রশিদপুরের এই গ্যাসফিল্ডটি। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের প্রায় অর্ধেকের বেশি যোগান দিয়ে থাকে এই গ্যাস ক্ষেত্রটি। এটি প্রাকৃতিক গ্যাস এবং গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট উৎপাদনের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। গ্যাসক্ষেত্রের ১১টি কূপ থাকলেও আগে ৫টি কূপ সচল ছিলো। এর সাথে নতুন করে দুটি কূপ সচল করায় ফিল্ডের উৎপাদিত কূপের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭টিতে। সাথে বেড়েছে উৎপাদন সক্ষমতাও।
এর আগে সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে (ওসমানী নগরের দয়ামীর) মেসার্স হাজী মাসহুদ আলী মডেল পেট্রোল পাম্প উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ওসমানীনগর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পেট্রোল পাম্পের নীতিমালা করা হয়েছে। শহরে কেমন হবে, হাইওয়ের পাশে কেমন হবে, গ্রামীণ এলাকায় কেমন হবে- এ জন্য আলাদা নকশা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে হাইওয়ে সড়কের পাশে ৮টি মডেল পাম্প করা হচ্ছে, তারমধ্যে ৬টি চালু হয়েছে। আমরা অনুমোদন দিয়েছি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, মডেল পেট্রোল পাম্পে অনেক সুবিধা থাকবে। তেল নেওয়ার পাশাপাশি এখানে বিদ্যুতের চার্জিং স্টেশন থাকবে। দীর্ঘযাত্রার পর গাড়ির চালকরা এখানে বিশ্রাম নিতে পারবে। তাদের গোসলের জন্য ব্যবস্থা থাকবে।
নতুন নীতিমালায় সারাদেশে কতগুলো পেট্রোল পাম্প দরকার, একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব কত হবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।