খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বেশী ধান উৎপাদন করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ৩:৩৬:০০ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেছেন, আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। ক্রমবর্ধমান বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হলে কম জমিতেই বেশী ধান উৎপাদন করতে হবে। দিনকে দিন শিল্প কারখানা আমাদের কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে, ফলে আমাদের চাষের জমি কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ধান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ব্রি ৮৯, ব্রি ৯৯, ক্লোন ১০০, বীনা ২৫ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা অভূতপূর্ব ফলন পেয়েছেন। এলাকাভেদে এই জাতের ধান বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ মণ। যা আগে হতো সাত থেকে সাড়ে সাত মণ। তাই, পুরোনো জাত বাদ দিয়ে এখন নতুন উদ্ভাাবিত ধানের জাতগুলোর চাষ করতে হবে। এই উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করে আমরা যেন বিদেশে রপ্তানি করতে পারি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উত্তরসুর গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’র আয়োজনে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র সহযোগিতায় বোরো ধান কর্তন উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি জোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য এ বছরও বোরোর আবাদ ও ফলন বাড়াতে আমরা ২১৫ কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা কৃষকদের দিয়েছি। এর ফলে এ বছর সারা দেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। হাওরাঞ্চলে রোপণ করা ধানগুলো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আমাদের আর চালের ঘাটতি থাকবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি মন্ত্রী বলেন, বোরো ধানের উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পান। গত বছরের চেয়ে এ বছর ধানের মূল্য কেজিপ্রতি ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আর ও বলেন, ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছেন। এটি বিশ্বের বিরল উদাহরণ। এ মুহূর্তে হাওরে প্রায় ৯ হাজার কম্বাইন হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটা চলছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব, পুলিশ সুপার মনজুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টর বিতরণ করেন।