শ্রমিক সংকটে ভরসা কম্বাইন হারভেস্টার
শান্তিগঞ্জে নিচু জমির ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১:২৯:০৯ অপরাহ্ন
মো: নুরুল হক, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে : ঃ শান্তিগঞ্জে নতুন ধান ঘরে তুলতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই মুহুর্তে দম ফেলার ফুরসত নেই কারোর। তবে ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকট এবং অধিক মজুরির কারণে ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা। অতিরিক্ত অর্থ দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। এই দুর্দিনে কৃষকের ভরসা হয়ে উঠেছে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন। তবে হাওরের নিচু এলাকায় পানি ও কাঁদার গভীরতা বেশি থাকায় হারভেস্টার মেশিন জমিতে নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষীরা।
জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে ধান কাটার সময় সিলেটের কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা শান্তিগঞ্জে আসতেন। কিন্তু গতবছর থেকে স্থানীয় ও মৌসুমী শ্রমিক সংখ্যা কমতে থাকে। ফলে এই সময়ে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলার ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন। অল্প সময় ও কম খরচে দ্রুত ধান মাড়াইয়ের এবং রাতেও ধান কাটার সুবিধা থাকায় আধুনিক এই যন্ত্রটি এখন কৃষকদের ধান কাটার প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় হারভেস্টার মেশিন কম থাকায় ধান কাটতে বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
বিভিন্ন হাওরের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে সব হাওরে হারভেস্টার মেশিন যায় না সে সব হাওরের কৃষকরা শ্রমিক সংকটে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সোহায়েল আহমেদ বলেন, এখন মানুষ বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করায় আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই একটু সমস্যা হয়। এই মুহুর্তে শান্তিগঞ্জে ৭৮ টি কম্বাইন হারভেস্টার মাঠে ধান কাটছে। বাইরের জেলাগুলো থেকে আরও কম্বাইন হারভেস্টার আসবে আশা করা যায়। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে শান্তিঞ্জর বিভিন্ন হাওরে ২২ হাজার ৬শত ৫৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ থেকে বাজার মূল্যে ৩ শত ৮০ কোটি টাকার ৯৫ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের।