সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পার কেটে মাটির ব্যবসা ॥ দেখার কেউ নেই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মে ২০২৪, ৬:১০:৪৩ অপরাহ্ন
শহীদনূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জ পৌরসভার বড়পাড়া এলাকায় সুরমা নদীর পার কেটে ট্রাকে করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে একটি অসাধু চক্র। প্রকাশ্যে দিবালোকে নদীর পার কেটে অবৈধ এ মাটির ব্যবসা চললেও দেখার যেনো কেউ নেই।
জানা যায়, অনেক দিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র নদীর পার কেটে মাটির ব্যবসা করছে। শ্রমিক দিয়ে মাটি ড্রাম ট্রাকের সাহায্যে বিক্রি করছে, আর লুটে নিচ্ছে টাকা।
এদিকে, অব্যাহতভাবে পার কাটায় নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে নদী তীরবর্তী বসতভিটা, খেলার মাঠ ও দোকানপাট। নদীর তীর রক্ষায় এই অবৈধ মাটি বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মওসুমে শুরু হয় নদীর পার কাটা। গত ৬ মাস ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নদীর পার কেটে মাটি নিয়ে যায়। দিনে-দুপুরে ট্রাকে করে মাটি নিয়ে গেলেও ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলছে না। দীর্ঘদিন ধরে পার কাটা বন্ধে সচেতন মহল থেকে দাবি উঠলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হতাশ এলাকাবাসী।
গত শনিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে পৌরসভার বড়পাড়া নদী তীরবর্তী এলাকায় গেলে দেখা যায়, ১০-১২ জনের এক দল শ্রমিক কোদাল ও বেলচার সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাক ভরছে। মাটি কাটার এই দৃশ্য ক্যামরাবন্দি করতেই শ্রমিকরা দৌঁড়াতে থাকেন। পার কাটার বিষয়ে ট্রাক বোঝাই কাছে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাসির জানান, পার কাটা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। দিনে-দুপুরে পার কাটা হলেও কেউ বাধা দেয় না। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক দিয়ে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। যেখানে প্রশাসন নীরব, সেখানে সাধারণ মানুষের শক্তি কি আছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলার।
আরেক বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, রাত নেই, দিন নেই অবিরত একাধিক ট্রাক দিয়ে মাটি, বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ট্রাক চলাচলের শব্দে ঘরে থাকা দায়। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়র এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র নাদের বখতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তহশিলদার পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।