সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বাড়ছে , নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৪, ১:২৬:০৯ অপরাহ্ন
![সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বাড়ছে , নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বাড়ছে , নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2024/05/sunamgonj-768x431.jpg)
সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা : ভারতের উজানে ও সুনামগঞ্জের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা, কুশিয়ারাসহ জেলার সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি শহরের নবীনগর পয়েন্টে অন্তত ২০ মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জেলার হাওরগুলোতে পানি ধারণক্ষমতা থাকায় সমতল এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখছে পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদনদীসমূহের পানি সমতল বিশেষ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলে এই অঞ্চল সমূহের সমতলে পানি হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নন হাওর এলাকার কৃষকদের মধ্য শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, নন হাওরের স্কিমের জমির ধান এখনো কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান কাটতে আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে। নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে ক্ষেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। এছাড়াও বন্যা পূর্বাভাসে জেলার বাদাম চাষীরা শঙ্কায় রয়েছেন।
সদর উপজেলার কাংলার হাওরের কৃষক হজর আলী জানান, আমাদের এলাকায় অনেক স্কিমে জমি রয়েছে। এসব জমির ধান এখনো কাঁচা রয়েছে। এখন যদি পাহাড়ি ঢল আসে; তাহলে ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদামচাষী সেলিম আহমদ জানান, নদীতে পানি বাড়লে শঙ্কা থাকে, যদি ঢল এসে বাদাম গাছ তলিয়ে দেয়। ২০২২ সালে আমরা অনেক বাদামচাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। এবার না জানি কি হয়?
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, নদীতে পানি বাড়লেও হাওর এলাকায় শঙ্কা নেই। কেননা হাওর এখনো খালি রয়েছে।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ। হাওর ঝুঁকিমুক্ত। নন হাওর এলাকার ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা বাকি রয়েছে। তবে বন্যা দেখা দিলে ফসল নষ্ট হবে না বলে জানান তিনি।