ধান-চাল সংগ্রহে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রশ্রয় না দেবার নির্দেশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৪, ৭:৫২:৩৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভার্চুয়ালি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম সারাদেশে একযোগে উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এসময় মন্ত্রী বলেন, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার কৃষকরা ধানের সন্তোষজনক মূল্য পাচ্ছেন। তাই ধান বিক্রিতে কৃষকদের আগ্রহ বেশি থাকবে। ধানের উৎপাদনের কথা চিন্তা করে সরকার ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রশ্রয় না দিতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গুদামে ধান নিয়ে আসলে কৃষকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়- সেটি নজরে রাখতে হবে। কোনোভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। ধানের আর্দ্রতা পরীক্ষা করতে প্রয়োজনে কৃষি অফিসাররা কৃষকদের বাড়িতে যাবেন। আমরা চাই জুনের আগেই মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ অর্জন করতে।
সিলেট : সিলেটে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া মোস্তফা, সিলেট সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও সিলেট সদর, খাদিমনগর খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। এবার অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ-২০২৪ কার্যক্রমের আওতায় প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল্য ৩২ টাকা, প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের সংগ্রহ মূল্য ৪৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আতপ চালের মূল্য ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০ মে পর্যন্ত মিলারদের সাথে চুক্তির সময়সীমা নির্ধারিত করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ^নাথ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাটসহ মোট ৬টি উপজেলায় ধান সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে কৃষক নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর লটারির মাধ্যমে বিক্রেতা কৃষক নির্বাচন করা হবে। অ্যাপ বহির্ভূত উপজেলা সমূহে কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত কৃষকের নিকট হতে ধান সংগ্রহ করা হবে। উপজেলা সংগ্রহ কমিটি অনুমোদিত কৃষক তালিকা হতে লটারির মাধ্যমে বিক্রেতা কৃষক নির্বাচন করা হবে। প্রতি কৃষক সর্বোচ্চ ৩ হাজার মে: টন এবং সর্বনি¤œ ১২০ কেজি ধান গুদামে বিক্রয় করতে পারবেন। এ জেলায় লাইসেন্সকৃত ১৪টি সিদ্ধ এবং ৬৩টি আতপ চাল কল রয়েছে। সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৫৬৬ মে: টন ও সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৮৭৩ মে: টন এবং আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৮১৯ মে: টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলা গুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ১২৮০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম ভুঞা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম মুশফিকুর রহমান, খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল আহাদ, ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, হাজী আবুল কালাম প্রমুখ।
প্রথম দিন খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেন সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম ও আব্দুল হাই নামের দুইজন কৃষক। প্রতি কৃষক ৩ টন করে গুদামে ধান বিক্রি করেন। ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা। সরকারের এই নির্ধারিত মূল্যে কৃষকরা ধান বিক্রি করলে লাভবান হবেন জানিয়েছেন কৃষকরা।
এবার সুনামগঞ্জে ২৯ হাজার ৮১১ মেট্রিকটন ও সিদ্ধ ও আতপ মিলে ১৯ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করবে সরকার। ৭ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে কৃষকরা গুদামে এসে নির্বিঘেœ ধান বিক্রি করতে পারবেন। ধান ক্রয় কার্যক্রম কৃষকদের অবগত করতে সর্বত্রই মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আন্তরিক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জগন্নাথপুর : জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে খাদ্যমন্ত্রী সারাদেশে ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পর জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন, জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক সূত্রধর, রানীগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিপন সুমের, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান, কৃষক সাবাজ মিয়া।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ২৬০৮ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে। ৮৬৯ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২৮০ টাকা মণ ধরে ধান কেনা হবে। একজন কৃষক ৭৫ মণ ধান বিক্রি করতে পারবে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত কৃষকের আবেদন গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে ৮২০ জন কৃষক মনোনীত করা হয়।
দিরাই : দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পৌর শহরের খাদ্য গুদাম (এলএসডিতে) চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খন্দকার এর উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোরঞ্জন অধিকারী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনির হোসেন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এলএসডি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজ উদ-দৌলা তালুকদার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, খাদ্য পরিদর্শক ইসমাম ইবনে খতিব, ব্যবসায়ী শাব্বির মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৭১৮ মেট্রিকটন ধান ১২৮০ টাকা মণ ধরে দিরাই উপজেলা খাদ্য গুদামে সংগ্রহ করা হবে।
ছাতক : ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ-২০২৪ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে রোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ছাতকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না। ১ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন বোরো ধান এবং ৬৩৩ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছর বোরো ধান প্রতি কেজি ৩২ টাকা এবং আতপ চাল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উদ্বোধনী দিনে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ধারণ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনের ৩ মেট্রিক টন ধান দিয়ে সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা হয়। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক হোসেন খান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পীনাক পানি ভট্টাচার্য্য, ফুড ইন্সপেক্টর মনধন চন্দ্র দাস, ওসিএলএসডি সুলতানা পারভিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়ারাবাজার : দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, দোয়ারাবাজারে চলতি বছরে উপজেলা পর্যায়ে ১হাজার ৫শ’ ৩৬ মেট্রিক টন ধান, ৮শ’ ১৪ মেট্রিক টন আতপ চাল ও ৯২ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেহার নিগার তনু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সেলিম হায়দার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান, এলএসডি (ভারপ্রাপ্ত) সফিকুল ইসলাম, মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুর মিয়া, সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম, জাবেদ আহমদ, কবির আহমদ প্রমুখ।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর : ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি অফিসার মীর হাসান আল বান্না, ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী ও জুবায়ের পাশা হিমু, ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাব সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংবাদিক এনামুল হক এনি, এম এম এ রেজা পহেল, কৃষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতীশ দর্শী চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন মধ্যনগর এলএসডি (খাদ্যগুদাম) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিন, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু, বাজার বনিক সমিতির সভাপতি গুপেশ চন্দ্র তালুকদার প্রমুখ।
খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, সরকার চলতি মৌসুমে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর খাদ্য গুদামে ৩ হাজার ৮৯৫ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করবে। প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৮০ টাকা।
এর মধ্যে মধ্যনগর গুদামে ২ হাজার ৩৯৫ মেট্রিকটন। ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্য গুদামে জায়গা না থাকায় এখানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫০০ মেট্রিকটন।
ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্য গুদামে প্রথম কৃষক ধর্মপাশা গ্রামের কৃষক মো. নজরুল হুদা, তার জমির উৎপাদনকৃত ৮৮ জাতের ৩ মেট্রিকটন ও মধ্যনগর খাদ্য গুদামে ইঠাউড়ী গ্রামের মাদক মালাকার নামের কৃষকের বি আর ৮৮ জাতের ৩ মেট্রিকটন দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে।
শাল্লা : শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের কৃষকদের নিকট থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ধান সংগ্রহ অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অমিতা রাণী দাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আল-বশিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ তুষার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাজিব হাওলাদার, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া, সংগ্রহ কমিটির কৃষক প্রতিনিধি বসন্ত কুমার বৈষ্ণব, কৃষক সুবীর সরকার পান্না প্রমুখ।
উদ্বোধনকালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, এবার শাল্লা উপজেলার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৪৯৮ মেট্রিকটন। ৩২ টাকা কেজি ধরে প্রতি মণের মূল্য ১২৮০ টাকা। তিনি আরো জানান কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত কার্ডধারী প্রতি কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিকটন ধান দিতে পারবেন।