ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ
সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় পুরনোদের সাথে নতুন মুখ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২৪, ৩:০৯:২৫ অপরাহ্ন
নূর আহমদ :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় গতকাল বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদরসহ বেশিরভাগ উপজেলায় নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন। সিলেট জেলায় চারটি, সুনামগঞ্জে দুটি, মৌলভীবাজারে তিনটি এবং হবিগঞ্জে দুটি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল নি¤œরূপ:
সিলেট সদর:
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো: সুজাত আলী রফিক বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি। উপজেলার সর্বমোট ৬২টি ভোট কেন্দ্রে বিজয়ী সুজাত আলী রফিকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৬৭। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম টুনু পান ১৩ হাজার ৮শ ৬৩ ভোট। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫শ ৯১ ভোট, শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা, সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) পান ৬ হাজার ৭শ ৯৬ ভোট, মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে পান ৫ হাজার ৪শ ১ ভোট ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে ৪ হাজার ৮শ ৬৪ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেন ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো: সাইফুল ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৬শ ৪২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: ওলিউর রহমান টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে পান পেয়েছেন ১১ হাজার ৮শ ৫৮ ভোট। অপর প্রার্থী চশমা প্রতীক নিয়ে মো: জাকির হোসেন ১১ হাজার ৩শ ৭৯, মো: সেলিম আহমদ মাইক প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ২শ ৩১, বিলাশ ব্যানার্জি বৈদ্যুতিক বাল্ব নিয়ে ৪ হাজার ৯শ ৩৮ ভোট, নিজাম আহমদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ২৭ ভোট, নুরুল ইসলাম তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬শ ৯৮ ভোট, রথীন্দ্র লাল দাস বই প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৪শ ৮ ভোট পান। ভাইস চেয়ারম্যান সংরক্ষিত পদে হাছিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৫ হাজার ৭৯২। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট দিলরুবা বেগম কাকলী পান ৩০ হাজার ৫শ ৮১ ভোট। উল্লেখ্য সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দুই পদে নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদরুল ইসলাম (টেলিফোন) ২০হাজার ৬১৫টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ ( মোটরসাইকেল)১৪হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাইক) ১৯ হাজার ৮৩০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়েজ আহমদ(তালা) ১৮ হাজার ২৯০টি ভোট পেয়েছেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি (পদ্মফুল) ২০ হাজার ২৯৮টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাহিমা বেগম (ফুটবল) ১৮ হাজার ৮২০টি ভোট পান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবুল হাসনাত গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৬৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বিশ্বনাথ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা:
বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি ঘরানার প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মাত্র ৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দারুণ এক চমকপদ জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৩৪ টি ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ ঘরানার গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫০টি ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ঘরানার মুহিবুর রহমান সুইট ও ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে আওয়ামী লীগের করিমা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।
সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত জনপদ হিসেবে পরিচিত বিশ্বনাথে এবার চেয়ারম্যান পদে রেকর্ড সংখ্যক প্রবাসী প্রার্থী অংশ নেন। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একনাগাড়ে বিশ্বনাথ এর ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বমোট ৭৪টি কেন্দ্রে এবার ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেন। চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রবাসী সহ মোট প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ ঘরানার ৬জন, বিএনপি ঘরানার ৪জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে বিজয়ী সোহেল আহমদ ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ছাড়া অপর প্রার্থীদের মধ্যে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে বিএনপি ঘরানার প্রবাসী সেবুল মিয়া ১১ হাজার ৭৯৮টি ভোট পান, আওয়ামী লীগের আলতাব হোসেন টেলিফোন প্রতিকে ৮ হাজার ৪৫৭টি ভোট।
গোলাপগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা:
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৮ হাজার ৭৭২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট। চেয়ারম্যান পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট।
এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. নাবেদ হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট।
নির্বাচনে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, তালা প্রতীক নিয়ে ফরহাদ আহমদ পান ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট। এছাড়াও বই প্রতীকের প্রার্থী আকমল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে সেলিনা আক্তার শীলা ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিছ আক্তার পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।
সুনামগঞ্জ থেকে জেলা প্রতিনিধি ও দিরাই এবং শাল্লা প্রতিনিধি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন এই দুই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ।
প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে দিরাই উপজেলা পরিষদে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন প্রদীপ রায়। উপজেলার ৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে প্রদীপ রায় দোয়াতকলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ঘোড়া প্রতীকে পান ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া আনারস প্রতীকে পান ১৫ হাজার ৪৯৭ ভোট। এছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রথম বার এবিএম মুনসুর সুদীপ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে তৃতীয় বারের ন্যায় ছবি বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রবীন রাজনীতিবিদ অবনী মোহন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৯ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপি নেতা (বহিষ্কৃত)গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে শর্বরী মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিল্পী বেগম বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি ১৯৯১৮টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম.এ মোঈদ ফারুক ১৫ হাজার ১৮৮টি ভোট পান।ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ২১ হাজার ৩২৮টি ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস শহীদ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৭৯টি ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে শিল্পী বেগম ২৯ হাজার ৫৬০টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রঞ্জিতা শর্মা ১৯ হাজার ৭৭৯টি ভোট পান।
এদিকে, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট। এছাড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট। এছাড়া কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফজলুল হক খান সাহেদ ৩৫ হাজার ২৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ স ম কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫২।
হবিগঞ্জ জেলা প্রতনিধি জানান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৩ টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ১৮২ ।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার (কৈ মাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট। ২ হাজার ৬৭৯ ভোটে বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে মো.আলাউদ্দিন মিয়া বিজয়ী হন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিলোয়ার হোসেন (তালা) প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট -১১ হাজার ৫০০ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কালীপদ পাল (টিউবওয়েল) ৯ হাজার ২৭৬ টি।
ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে বিজয়ী মাহমুদা আক্তার রেপা (ফুটবল) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকসানা আক্তার (হাঁস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
এছাড়া, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, সিলেটের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য, চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠে তৎপর ছিল।