সিলেটে বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২৪, ৩:২২:১১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশের মতো সিলেটেও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত পৃথক কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, বাংলা সাহিত্য যে দাপটের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করার প্রয়াস পাচ্ছে, তার মূলে রয়েছে কিছু সাহিত্যিকের নিরলস সৃষ্টিকর্মের অবদান। আর বাংলা সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে যারা অবদান রেখেছেন, তারমধ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্যতম। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, চিত্রশিল্পী এবং সঙ্গীতজ্ঞও। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার অবিচল পদচারণা তাকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বক্তারা আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বমানবতার গান গেয়েছেন চিরদিন। তাঁর রচনা, সৃষ্টিকর্ম বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের ব্যক্তি, সামাজিক, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলা-বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজনীয়তা কোনদিন ফুরাবে না। আমাদের সুখে-দুখে, সুদিনে-দূর্দিনে শেষ আশ্রয় তিনি।
মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ উৎসব উদযাপন পরিষদ : মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মাছিমপুরে কবিগুরুর ভাস্কর্যে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি মণিসেনা সিংহের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল সিংহের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ ভাস্কর্য বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি অলক সিংহ, উৎসব উদযাপন পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব বিলাস সিংহ, মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক বিপ্লব সিংহ, যুবনেতা কংকন সিংহ, ধ্রুব সিন্হা, রাজীব সিংহ, রিপন সিংহ প্রমুখ।
আনন্দলোক সিলেট : গানে, কবিতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দলোক।
‘হে নতুন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি নগরীর শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ মিলনায়তনে সকাল ৯টায় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচক হিসেবে ছিলেন শিক্ষাবিদ, লোক গবেষক সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডীন ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
আনন্দলোকের পরিচালক বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রাণা কুমার সিনহার পরিচালনায় সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত নিবেদন করেন আনন্দলোকের শিক্ষার্থীরা। একক কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত নিবেদন করেন- সুমনা আজিজ, প্রতীক এন্দ, জলি দে, সুমা রায় চৌধুরী, পল্লবী চক্রবর্তী, রুবি বেগম, সংহিতা দেবী, দৃষ্টি রায়, তন্বী দাস, নীলাঞ্জনা দেব জুঁই, শতাব্দী চক্রবর্তী, আদিত্য ভৌমিক।
আমন্ত্রিত সংগঠন হিসেবে সমবেত রবীন্দ্রসংগীত নিবেদন করেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সিলেট শাখা ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, সিলেট। একক আবৃত্তিতে অংশ নেন নাজমা পারভীন, সুকান্ত গুপ্ত, পদ্মশ্রী দে।
যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন এ¯্রাজে অশোক কুমার সরকার, তবলায় তাওরেম রাতুল সিংহ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আনন্দলোকের সমন্বয়ক রবিকিরণ সিংহ রাজেশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি এ কে শেরাম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, নাট্যশিল্পী আশুতোষ ভৌমিক বিমল, সংস্কৃতিকর্মী হুমায়ুন কবীর জুয়েল প্রমুখ।