উপজেলা নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ
সম্পদে এগিয়ে মজির, ঋণ বেড়েছে শামীমের, মনসুর ব্যবসায়ী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৪, ১:০৩:৫৭ অপরাহ্ন
লবীব আহমদ :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। মোট ১২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তাদের মধ্যে ২ জন স্বশিক্ষিত ও একজন স্নাতক পাস। তারা ৩ জনই ব্যবসায়ী। বাৎসরিক আয় ও অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে আছেন মজির উদ্দিন। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ঋণ সমানতালে বেড়েছে। মজির উদ্দিন বাদে বাকি দুজনের রয়েছে ব্যাংক ঋণ। আর নিজের স্থাবর সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেননি মজির। এসব তথ্য তাদের হলফনামা ঘেঁটে জানা গেছে।
আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ঋণ বেড়েছে শামীমের
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ (শামীম) স্বশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা, যেগুলো থেকে তিনি খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন। গত ৫ বছরে শামীম আহমদের আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ঋণ বেড়েছে। তার বাৎসরিক আয় বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ অর্থাৎ ৩৫ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। তার বাৎসরিক আয় বর্তমানে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা। যা আগে ছিল ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩ টাকা। বর্তমানে অস্থাবর সম্পদ ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯৬ টাকা। যা আগে ছিল ১৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬১৩ টাকা। তার স্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। স্থাবর সম্পদ বর্তমানে ৩ কোটি ৪৪ হাজার ৫০৩ টাকা। যা আগে ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৬২০ টাকা। তার ব্যাংক ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণেরও বেশি অর্থাৎ ১ কোটি ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৩ টাকা। বর্তমানে তার ব্যাংক ঋণ ১ কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৯ টাকা। যা আগে ছিল ১৬ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ টাকা।
স্থাবর সম্পদ উল্লেখ নেই মজির উদ্দিনের
মো. মজির উদ্দিন স্নাতক পাস ও ব্যবসায়ী। ব্যবসা ও শেয়ার থেকে তার বছরে আয় ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭৯ টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ টাকা। আর স্থাবর সম্পদ উল্লেখ নেই।
স্বশিক্ষিত রশীদ আহমদ ব্যবসায়ী
আবুল মনসুর মো. রশীদ আহমদ স্বশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী। তার বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ ১২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ও স্ত্রীর অলংকারাদি আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর স্থাবর সম্পদ আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি দালান এবং পৈতৃক কৃষিজমি ও অকৃষি জমি এখনো বণ্টন হয়নি। তার ব্যাংক ঋণ আছে ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭ টাকা।