গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ
ফারুকের আয় বেড়েছে ৩০ গুণ, কোটি টাকা ঋণ বেড়েছে স্বপনের
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৪, ৫:০৬:২৩ অপরাহ্ন
লবীব আহমদ :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে আগামী ২১ মে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ ফারুক আহমদ এবং জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ বহিষ্কৃত নেতা শাহ আলম স্বপন। গত ৫ বছরে দু’জনের হলফনামায় এসেছে বেশ পরিবর্তন। ব্যবসা ছেড়ে ‘উপজেলা চেয়ারম্যান’ পেশায় ফারুক আহমদের আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ আর স্বপনের ঋণ বেড়েছে এক কোটি ৪০ লাখ টাকার ওপরে। তাদের দু’জনের নির্বাচনী হলফনামা ঘেটে এ তথ্য জানা গেছে।
মোহাম্মদ ফারুক আহমদ: গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। ৫ বছর আগে তিনি ব্যবসায়ী থাকলেও এ বছর তার পেশা উল্লেখ করেছেন ‘উপজেলা চেয়ারম্যান’ পদে কর্মরত। তার বাৎসরিক আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ অর্থাৎ ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শেয়ার ও চাকুরি থেকে তার বছরে আয় ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার নির্ভরশীলদের আয় ২০ লাখ টাকা। ৫ বছর আগে তার বাৎসরিক আয় ছিল এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিল।
ফারুক আহমদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ অর্থাৎ ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তার অস্থাবর সম্পদ ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। আগে ছিল ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও স্ত্রীর অলংকারাদি ৭০ হাজার টাকা। তার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বর্তমানে তার স্থাবর সম্পদ ১৯ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের ৩৩ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৩৩ হাজার টাকা।
শাহ আলম স্বপন: শাহ আলম স্বপন বিএসসি পাস ও ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা আছে, যেগুলো বিচারাধীন। তার বাৎসরিক আয় ৫৬ হাজার টাকা বেড়েছে। ব্যবসা থেকে বছরে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় ও নির্ভরশীলদের আয় ৫০ হাজার টাকা। তিনি ৫ বছর আগে চাকুরী থেকে বছরে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও পরিবার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতেন।
তার অস্থাবর সম্পদ ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯০ টাকা কমেছে। বর্তমানে তার নিজ নামে ১৫ লাখ ও স্ত্রীর অলংকারাদি থেকে ২ লাখ টাকা এবং নির্ভরশীলদের নামে ২ লাখ টাকা রয়েছে। যা আগে ছিল তার নামে ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৯০ টাকা ও স্ত্রীর আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৭ টাকা এবং পরিবারের নির্ভরশীলদের ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তার স্থাবর সম্পদেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকাই তার স্থাবর সম্পত্তি। পৈত্রিক সম্পত্তি আগে যা ছিল তাই। তবে, শাহ আলম স্বপনের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার ৩৫৬ টাকা। বর্তমানে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৩ টাকা ঋণ। যা আগে ছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৭ টাকা।