উপজেলা নির্বাচন : সিলেট বিভাগে জামানত হারাচ্ছেন ৬৪ প্রার্থী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪, ৭:৪১:০৯ অপরাহ্ন
লবীব আহমদ :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে সিলেট বিভাগের ১০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সিলেটের তিনটি, সুনামগঞ্জের ৪টি, হবিগঞ্জের ২টি ও মৌলভীবাজারের একটি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১৩৯ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে ৬৪ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ২০ জন চেয়ারম্যান, ৩৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পড়ে। সেখানে ৩ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- এম ইসমাইল আলী আশিক (৪৮৭), কামাল আহমদ (১৮৪) ও হোসেইন আহমদ (১০৫)। তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ও হোসেইন আহমদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৩ হাজার ৯৬২ ভোট পড়ে। সেখানে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- আব্দুল খালিক (১১৭৪), আব্দুল হক (২০০১), নজরুল ইসলাম (২৪১৭), মাসুক উদ্দীন (২৪৬৯) ও মো. বশির উদ্দিন (৫৩১৮)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৩ হাজার ৯৫৪ ভোট পড়ে। সেখানে পলিনা রহমান (৪৭৮০) জামানত হারাচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১ হাজার ৭৭০টি ভোট পড়ে। সেখানে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- আবিদুর রহমান (৬০৭৯), মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল (৫৩৫৯) ও মো. ইকবাল হোসাইন (১৭৩০)।
গোয়াইনঘাট উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৩ হাজার ১৬৩টি ভোট পড়ে। সেখানে মো. ইসলাম উদ্দিন (৯৯৬৪) জামানত হারাচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ : তাহিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮০ হাজার ৪৭৮টি ভোট পড়ে। সেখানে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- মো. আবুল কাশেম (৪৪৬০), মিঠু রঞ্জন পাল (৭৬১), ও মো. আলী মর্তুজা (৬২)। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮০ হাজার ৫৮০টি ভোট পড়ে। সেখানে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- আবু ছায়িদ মিয়া (১০৬৪০) ও জিল্লুর রহমান (১০৯৪১)।
জামালগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৪৬৫টি ভোটের মধ্যে মো. মকবুল হোসেন ৩ হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬০ হাজার ৪৯০টি ভোট পড়ে। সেখানে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রণজিত চৌধুরী নামে এক প্রার্থী ৩ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০ হাজার ৪৯০টি ভোট পড়ে। সেখানে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- মো. জুলহাস মিয়া (২০৩০), মো. তাজ্জত আলী খাঁন (১৬০৯), মো. নুরুল ইসলাম (২৮৬৬) ও সেলিম আহমদ (৪৫২৩)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০ হাজার ৪৯০ ভোট পড়ে। সেখানে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- পেয়ারা বেগম (৬৭৩৯), মাহফুজা আক্তার রীনা (৭৬৫৬) ও মোছা. মদিনা আক্তার (৫৫৩২)।
ধর্মপাশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়ে ৫০ হাজার ৫১১টি ভোট পড়ে। সেখানে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- এস আর হায়দার চৌধুরী (৪৩৫৪), মো. বাশার তালুকদার (৫৫৯৫), মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (২৬৬২) ও শামীম আহমেদ (৬৩৭৯)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫০ হাজার ৫১৪ ভোট পড়েছে। ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- শাহ মো. আলী আকবর (৭০৪৫), মো. দেনিয়ার হোসেন খান পাঠান (৬১৭৭), বিজয় হোসেন (৩৭২৪) ও সাদ্দাম হোসেন (২৪১২)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫০ হাজার ভোট পড়েছে এবং ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- মর্জিনা আক্তার (৫৫৮৪) ও রেশমা আক্তার (৯৬৫)।
মৌলভীবাজার : রাজনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮১ হাজার ৮০৬টি ভোট পড়ে। সেখানে ৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন আহমদ বিলাল (১০৮৬৫)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮১ হাজার ৬২৯টি ভোট পড়ে। সেখানে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- জবলু তালুকদার (৮৩৬৭) ও সঞ্জয় দেব নাথ (৩৭২১)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮১ হাজার ৫৬৫ ভোট পড়েছে। ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- লুৎফুল নাহার (৭৬৫৮) ও মোছা. ডলি বেগম (৪৭০১)।
হবিগঞ্জ : নবীগঞ্জ উপজেলায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৭টি ভোট পড়ে। সেখানে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- মো. ইমদাদুর রহমান মুকুল (১৭০৪৭), বোরহান উদ্দিন চৌধুরী (৩৩৭৬), শাহ আবুল খায়ের (১৯৫০) ও শেখ মোস্তফা কামাল (১৯০৫)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২১টি ভোট পড়ে। সেখানে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬ জন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- আলমগীর আহমেদ চৌধুরী সালমান (৯৩৮১), মোহাম্মদ অনর উদ্দিন (৭০৪৬), রুবেল আল মামুন তালুকদার (৬৯৪০), আব্দুল আলীম ইয়াছিনী (৬৬০৯), মুরাদ আহমদ (১৮৮৩) ও মো. হেলাল চৌধুরী (১২৬১)।
বাহুবল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৮ হাজার ৭৪৬ ভোট পড়েছে। সেখানে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- মো. আবদুল কাদির চৌধুরী (৭৩৭৩), আক্তারুজ্জামান (৫০৮৪), শেখ মো. ফিরোজ আলী মিয়া (৪৭৩) ও সৈয়দ খলিলুর রহমান (২৬৯)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮ হাজার ৭৬৪ ভোট পড়েছে। সেখানে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- মো. নবী হোসেন মুড়ল (৮৭৭১), মো. শামীনুর রহমান (৫৭০৮), মো. সোহেল আহমেদ (৩৯১০), শশাঙ্ক রঞ্জন দাশ (৩৫১৮), সিরাজুল ইসলাম (৩১৯৩) ও মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মাদানী (২১৯৯)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পড়েছে। সেখানে ৫ জনের মধ্যে ২ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- মোছা. আলফা বেগম (৮২০১) ও মোছা. নিছফা আক্তার (৬৬৭৯)।