সীমান্তে চিনি চোরাচালানের নিয়ন্ত্রক ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুলাই ২০২৪, ২:২১:৫৭ অপরাহ্ন

কাউসার চৌধুরী :
সিলেটের সীমান্তবর্তী চার উপজেলার মধ্যে চোরাই চিনি চোরাচালানের প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত। গোয়াইনঘাট আওয়ামী লীগের সদস্য সুভাস দাস ও কোম্পানীগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তামান্না আক্তার হেনা বেগমের নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন অবাধে আসছে চোরাই চিনির চোরাচালান। কেবল বিছনাকান্দি নয়; গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় চিনি। আর এসব চিনি চোরাচালানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এমনকি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরও নাম উঠে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের সরাসরি মদদে আসছে একের পর এক চিনি চোরাচালান। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ চিনি চোরাচালানসহ বাহকদের গ্রেফতার করলেও চিনি চোরাচালানের এসব মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই। স্থানীয় পর্যায়ের লোকজনসহ বিভিন্ন সূত্রের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জামাল উদ্দিন মাস্টার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
সবচেয়ে বড় রুট বিছনাকান্দি :
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি দেশের একটি অন্যতম সেরা পর্যটন স্পট। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর নাম ছড়িয়েছে চিনি চোরাচালানের মূল রুট হিসেবে। সিলেটের যে সকল সীমান্ত দিয়ে অবাধে চোরাই চিনির চোরাচালান হয়; এর মধ্যে বিছনাকান্দির নাম এক নম্বরে। বিছনাকান্দি সীমান্তের চোরাচালান দুটো আলাদা গ্রুপ পৃথকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এর একটির নেতৃত্বে সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুভাস দাস। অপর গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আছেন সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য হেনা বেগম।
সুভাস দাসের সাথে আছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য গোলাম কিবরিয়া রাসেল। সুভাস গ্রুপের চোরাচালানের দেখভালের দায়িত্বে হাদারপাড়ের দেলোয়ার মোল্লা। দেলোয়ার মোল্লা পুলিশের বিষয়টি দেখেন। যাতে কোনো ধরনের বাধাবিপত্তি ছাড়াই চোরাচালান গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এই দেলোয়ার মোল্লা যে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করেন তার একটি প্রমাণও মিলেছে। সিলেট শহরতলির উমাইরগাঁওয়ে ১৪ ট্রাক ভারতীয় চোরাই চিনির চোরাচালান আটকের ঘটনায় এক আসামির দেয়া জবানবন্দিতে এই দেলোয়ার মোল্লা পুলিশের বিষয় দেখবেন বলে জানিয়েছে। জবানবন্দিতে নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নাম এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নুর ইসলাম সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য হেনা বেগমের নিকটাত্মীয় । নুর ইসলাম মূলত হেনা বেগমের হয়ে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।
এর বাইরে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মাতুরতল সীমান্তে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন লনি নিয়ন্ত্রণ করেন। ওই এলাকায় শামসুদ্দিন ওরফে শাম কালা নামের আরেক ব্যক্তি রয়েছেন সুভাস দাসের পক্ষে। রাধানগর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ করেন উজ্জ¦ল।
রুস্তমপুর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করেন ফয়সল ও মুজিব মেম্বার নামের দু’জন।
অন্যদিকে, উপজেলার নকশিয়া পুঞ্জি পিয়াইন ও ডাউকি নদী, জিরো পয়েন্ট, লামাপুঞ্জি, গুচ্ছগ্রাম, লালমাটি, সংগ্রামপুঞ্জি, তামাবিল, নলজুরী ও তালাবাড়ী দিয়ে ভারতীয় চোরাই চিনি নিয়ে আসা হয়। আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইমরান হোসেন সুমন, আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল হক ও ফয়জুল মিলেমিশে এসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ করেন বলে সূত্র জানিয়েছে। বন্যার আগে এসকল সীমান্ত দিয়ে আসা চোরাই চিনির চোরাচালান সর্বপ্রথম হাদারপাড়ে নিয়ে আসা হতো। এরপর ট্রাক, পিকআপ কিংবা অন্য ছোটো যানবাহনের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হতো হরিপুরে। বর্তমানে সীমান্ত থেকে সরাসরি নৌকাযোগে চোরাচালান নিয়ে যাওয়া হয় হরিপুরে।
জৈন্তাপুরের ৩৫ স্পটে চোরাচালান :
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৩৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত নিয়ে আসা হয় ভারতীয় চোরাই চিনির চোরাচালান। এর মধ্যে আছে, মোকামপুঞ্জি, আলুবাগান ও শ্রীপুর। বিজিবির নামে এসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন আসামপাড়া আদর্শ গ্রামের আব্দুল জব্বার (৪৫)। এছাড়াও আদর্শগ্রাম, মিনাটিলা, ছাগল খাউরী, মিনাটিলা সুপারী বাগান, কেন্দ্রী মন্দির, কেন্দ্রী কাটালবাড়ী, কেন্দ্রী রাবারবাগান, কেন্দ্রী লম্বাটিলা ও চার নম্বর বাংলাবাজার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন আহমদ রুবেল (২৫)। তার অধীনে রয়েছেন শামীম আহমদ, পুলিশের বহিষ্কৃত সদস্য বিরাইমারা গ্রামের আব্দুল করিম ওরফে পুলিশ করিম।
ডিবির হাওর, আসামপাড়ার নিয়ন্ত্রণ করেন ফরিদ মিয়া (৬০), হারুন মিয়া (৩৫) ও তার ভাই মানিক মিয়া (৩৭)। মরিসমারা, ঘিলাতৈল, খলারবন্দ, ফুলবাড়ী, গৌরীশঙ্কর, টিপরাখলার নিয়ন্ত্রণ করছেন নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ১নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ। করিমটিলা, ভিতরগোল, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল ও হর্ণি সীমান্ত বিজিবির নামে আব্দুল করিম ওরফে ব্যান্ডেজ করিম, আব্দুল মালিক ওরফে আব্দুল, এখলাছ মিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আর নায়াগ্রাম, জালিয়াখলা, কালিঞ্জিবাড়ী, সারীনদীর মুখের নিয়ন্ত্রণে আছেন তাজ উদ্দিন নামের একজন। লাল মিয়া ও অভিনাশ টিলা, বাঘছড়া তুমইর, জঙ্গীবিল, রাবারবাগান, ইয়াংরাজা ও বালীদাঁড়া সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ করেন চারিকাটা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সেলিম।
থেমে নেই কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তেও
ভারতীয় চোরাই চিনির কারবার থেমে নেই সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জেও। উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের বরম সিদ্ধিপুর, মাঝেরগাঁও, উৎমা, লামাগ্রাম ও তুরং এলাকা দিয়ে আসে চিনির চোরাচালান। সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তামান্না আক্তার হেনা এসবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি উমর আলীর নামও চিনি চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সিলেটের এয়ারপোর্ট এলাকার কাকুয়ারপাড় থেকে তার দুই ট্রাক চিনি পুলিশ আটক করে বলে জানা গেছে। এছাড়াও উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নারাইনপুর, চিকাডহর ও ছনবাড়ি দিয়েও চিনির চোরাচালান আসে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
কানাইঘাটে তৎপর ৩০ চোরা কারবারী
স্থানীয় সূত্রগুলোর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কানাইঘাটের চার সীমান্ত দিয়ে দেদারসে নিয়ে আসা হয় অবৈধ চিনি। মোট ৩০ জন চোরাকারবারী এই চোরাই চিনি চোরাচালান চালিয়ে আসছেন। প্রকাশ্যে চোরাচালান নিয়ে আসলেও কানাইঘাট পুলিশ কিংবা সীমান্তের প্রহরী বিজিবি এর কোনো কিছুই দেখছে না। এদের কারও রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্রয়ে দিনের পর দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে নিয়মিত চাঁদা তোলা হয়।
চারটি সীমান্ত এলাকার মধ্যে সুরইঘাট সুনাতনপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে সুনাতনপুঞ্জির হারুন, জাকারিয়া, বাউরবাগ ২য় খন্ডের জিল্লু, বাউরবাগ ১ম খন্ডের আহমদ মেম্বার ও তার ভাই নজরুল ইসলাম, নাজিম, তোতা ও তার ছেলে মিজান, বুদন, হোসন, ফয়েজ এবং নয়াখেলের নাসির উদ্দিন চোরাই চিনির চোরাচালান নিয়ে আসে। আর বড়বন্দ সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান নিয়ে আসছে রুবেল আহমদ, রাহেল আহমদ, হেলাল উদ্দিন, সেবুল আহমদ, নিজাম আহমদ ও হারুন মিয়া নামের চোরাকারবারী।
এদিকে, লোভা সীমান্ত দিয়ে সাউদগ্রামের তেলি সুলতান, লালমাটির বিলাল, বড়গ্রামের খয়রুল ও নাহিদ এবং নুনছড়া আলুবাড়ী সীমান্ত দিয়ে শাহিদ, কামরুল, নিহালপুরের মামুন ও নিহালপুর আমরতলের বিলাল চোরাই চিনির চোরাচালান নিয়ে আসছে।
মামলার আসামি আওয়ামী লীগ -ছাত্রলীগ নেতা
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সিলেট জেলা পুলিশ ও সিলেট মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় চোরাই চিনি চোরাচালানের ঘটনায় মোট ৬১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৭ জনকে। এসকল মামলার মধ্যে জৈন্তাপুর থানার একটি মামলার (মামলা নং-০৯/ তারিখ ১৬/০৬/২০২৪) আসামি মনসুর আহমদ নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সাথে তার শ্যালক আব্দুল কাদিরও এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বিয়ানীবাজারে ৪০০ বস্তা চিনি লুটের মামলা হয় উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক তাহমিদ (২৬) ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম শাকেলসহ (২৯) চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। চিনি লুটের ঘটনায় একটি
ফোনালাপ ফাঁস হয়ে তোলপাড় শুরু হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে। অথচ ৩৩ বছর পর গত ১১ মার্চ বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ ও তার সহযোগীরা গত ১৩ জুন জকিগঞ্জের কালীগঞ্জে চিনি লুট করে নিয়ে যান।
ঘটনা কিন্তু পুরনো ….
ক্ষমতাসীন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ চোরাই চিনি চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে। এর মধ্যে গত আগস্ট মাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সহকারী কৌশুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পুজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দিলে চোরাচালানের বিষয় জনসম্মুখে আসে। এরপর অভিযুক্তরা হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। হামলার ঘটনায় তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মহানগর সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের ৫৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের যে যা বললেন :
এ সকল অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে সিলেটের ডাক থেকে গতকাল শনিবার একাধিকবার কল দেয়া হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ কল রিসিভ করলেও আবার কেউ কেউ কল রিসিভ করেননি।
সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুভাস দাস এ বিষয়ে বলেন, ‘এসবে আমি জড়িত নই। ইতা তো তারা কারবারী আছে। ব্যবসা বাণিজ্য করে চোরাকারবারী যারা আছে। অহরহ আছে। বিছনাকান্দি বাজারে পাড়া দিলেই পাওয়া যাবে। শ’দেড়শো কারবারী আছে। জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মিটিংয়ে এ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।’
সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তামান্না আক্তার হেনা বলেন, ‘চিনি বন্ধ – কুনতাউ চলের না। ইতা কে কয়। প্রায় একমাস ধরে বন্ধ। ছাত্রলীগের যে ১৪ ট্রাক চিনি ধরছিল ; এরপর থেকে কুন্তা চলের না। বিছনাকান্দি থেকে তার বাবার বাড়ি ১৪ কিলোমিটার দূরে। এসবে জড়িত থাকার বিষয়টি বানোয়াট বলে দাবি তার।’
তিনি বলেন, ‘কেউ বিপদে পড়লে ফোন দেয়, ১৪ ট্রাক চিনি ধরার পরেও ফোন দেয়-কিছু করা যাইবোনি। এয়ারপোর্ট থানায় আত্মীয় ও জালালাবাদ থানায় চাচাতো ভাই এসআই আছে – এজন্য ফোন দিতেই পারে। সহযোগিতার জন্যে – এটা তো আর দোষের কিছু না।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে দেখুন এসব মিথ্যা। চেয়ারম্যানি করলে দুশমন থাকে।’
গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া রাসেল বলেন, ‘এ সবে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই ।’
আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইমরান আহমদ সুমন বলেন, এসবে জড়িত নই। যাছাই বাছাই করে দেখতে পারেন বলে দাবি তার।
জৈন্তাপুরের চারিকাটা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সেলিম এক সময় চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অকপটে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘আগে এসব করতাম। বছর খানেক আগে। বর্তমানে বাদ দিয়ে দিছি। এখন লালাখাল সীমান্তে পানি ছাড়া কিছুই নেই।’
আর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি উমর আলীর দাবি, ‘তিনি এসবে নেই। কোম্পানীগঞ্জের সুশীল সমাজের সাথে তার সম্পর্ক। তিনি যে একজন ভালো মানুষ তা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন বলে জানান তিনি।’