শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ৪:৪০:১২ অপরাহ্ন

নুরজাহান মহিলা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কাইয়ুম চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার \ শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন নূরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলেও সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু, বর্তমানে এ অবস্থা আর নেই। এ অবস্থায় শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অঞ্চলের পশ্চাদপদতা কাটাতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নূরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কলেজের অধ্যক্ষ মো: নিজাম উদ্দিন তরফদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ও বাংলা বিভাগের প্রধান এম. এ আজিজের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং কলেজের দাতা সদস্য মো: নজমুল হোসেন। কলেজের শিক্ষক পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক এম. বায়েছের স্বাগত বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক শিরিনা বেগম, কলেজের শিক্ষার্থী মেহরিন হাসান স্নেহা ও নবীন ছাত্রী মারজানা ইয়াছমিন মুন্নি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কাইয়ুম চৌধুরী আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বছর ১৯২১ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন সিলেটেরই এক কৃতী নারী। ১৯৬৬ সালে সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস (সিএসএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পূর্ব পাকিস্তানের ১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জনই ছিলেন সিলেটের। কাজেই, সিলেট সব সময় শিক্ষাক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। শিক্ষায় সিলেটের আগের অবস্থান যে কোন মূল্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগী হবার পরামর্শ তাঁর। নূরজাহান মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে সিলেট বিভাগে আলোর দ্যুতি ছড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি এ কলেজের ভর্তি হওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু এবং তাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। তিনি কলেজের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিজ (অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম)-এর ওপর জোর দেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক এম. এ জলিল, সহকারী অধ্যাপক রোমানা সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা বিলকিছ, সহকারী অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন বেলাল, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, এনাম আহমদ, সংগঠক মাহবুব আলম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রধান লাকি বেগম, প্রভাষক হুমায়ুন কবির জুয়েল, প্রভাষক নাসরিন আক্তার, প্রভাষক সাবিনা ইয়াছমিন চৌধুরী, প্রভাষক রাহিমা আক্তার, প্রভাষক ফাহমিদা ইয়াসমিন, প্রভাষক মোহাম্মদ ঈমান আলী ইমন, প্রভাষক সুমনা আক্তার, প্রভাষক নাসরিন আক্তার, প্রভাষক পাপিয়া ভট্টাচার্য, প্রভাষক খালেদা সুলতানা, প্রভাষক হিফজুর রহমান, প্রভাষক মোবারক হোসেন, প্রভাষক রামিন আহমদ, প্রভাষক ইমরান আহমদ, সহকারী লাইব্রেরিয়ান রিপা রায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ মো: নিজাম উদ্দীন তরফদার এবার সিলেট অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় তাকে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।