সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ৪:২৮:৩৬ অপরাহ্ন

পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও লোকবলের অভাবে
ওসমানী হাসপাতালের
চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত
ডা: এস.এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বিগত সরকারের পতনের পর থেকে সিলেট বিভাগের সবচাইতে বড় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বিঘিœত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনিক জটিলতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব, ওয়ার্ড ম্যানেজমেন্টে সীমিত লোকবলের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাক্ষেত্রে বিরাজ করছে স্থবিরতা। জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পরপরই এ হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক বদলি হয়েছেন। অনেক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। শোকজ করা হয়েছে অনেক শিক্ষক ও চিকিৎসককে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির সুবিধা ভোগী লোক যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড, সি.এন.জি স্ট্যান্ড স্থাপন, ভাসমান দোকান স্থাপন করেছে। বেড়েছে ফেরিওয়ালার উৎপাত। বেড়ে গেছে বহিরাগতদের আনাগোনাও। কর্মস্থলে পূর্বের আনসার সদস্যদের সীমিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সবমিলিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল ক্ষেত্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রোগী ও এ্যাটেন্ডেন্টরাও চিকিৎসায় শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারছে না। বিশ্বস্ত সূত্র মতে, পূর্বের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বদলী হওয়ায় নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব মাত্র সপ্তাহ কয়েক আগে নিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে হাসপাতালটির আগের জৌলুসগাঁথা ভাব-মূর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আনসার নিয়োগ, চিকিৎসক পদায়ন, লোকবল নিয়োগ, ৩য়-৪র্থ শ্রেণির জনবল বৃদ্ধি, ঔষধ ও যন্ত্রপাতির সরবরাহ বৃদ্ধি, স্থানীয়ভাবে ভিজিলেন্স টীম গঠনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের আইনশৃংখলার উন্নয়ন, বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ ও উচ্ছৃংখলতা নিরসন, অবৈধ পার্কিং স্ট্যান্ড উচ্ছেদসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি ছাত্র-জনতা সহ বিভিন্ন দল ও মতের নেতৃবৃন্দ, গুণীজনও এ হাসপাতালটির পরিবেশ রক্ষায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মিলে কাজ করতে পারেন বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।