নগরীর সুলতান’স ডাইনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ৪:১৫:২৪ অপরাহ্ন
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে নগরীর সুলতান’স ডাইনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুলতান’স ডাইনকে সার্বিক পরিবেশ, খাবারের গুণগতমান বজায় রাখার জন্য এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সুলতান’স ডাইন ছাড়াও গতকাল রোববারের অভিযানে আরো দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে দাঁড়িয়াপাড়া মেঘনা-বি-৩৩ ইমন হাউজিংয়ে একটি ভাড়া বাসায় করা সুলতান’স ডাইনের ওয়্যার হাউসে যায় অভিযানিক দল। সেখানে ফ্রিজে বিপুল পরিমাণ মাংস সংরক্ষণ থাকলেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে দেখতে পান। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা না রাখায় কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন বিষয়টি। এছাড়া যত্রতত্র খাবারে ব্যবহৃত কাঁচামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন। এরপর অভিযানিক দল নগরের জল্লারপাড় সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ পরিদর্শনে যান। তখন রান্নাঘর পরিদর্শনকালে দেখতে পান ময়লা পানিতে থালা-বাসন পরিষ্কার করা হচ্ছে। কোনো ধরনের সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই খালি পা-হাতে এক কর্মচারী পানির টেপের নিচে মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করে বাঁশের তৈরি টুকরিতে রাখছেন। যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তাদের সতর্ক করে পাঁচ দিনের মধ্যে পরিবেশ ঠিক করতে বলা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ আরো জানান, সুলতান’স ডাইনে যে পানিতে মাংস রাখা হয়েছে সেটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। একইসঙ্গে তারা রান্নার জন্য যে তেল ব্যবহার করছে তাও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার পোড়া তেল সরাসরি ড্রেনে ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। খাবারের কাঁচামালের আমদানিকারকদের রশিদ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। বেঙ্গল মিটসের পাশাপাশি তারা নগরীর কাস্টঘরসহ লোকাল সোর্স থেকে মাংস সংগ্রহ করেন। সেসব মাংস কতখানি স্বাস্থ্যসম্মত তা খতিয়ে দেখতে লোকাল সোর্সগুলো তারা তদারকির আওতায় নেবেন বলে জানান। ঢাকা থেকে বাসযোগে মাংস আনার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। এসব অপরাধের কারণে তাদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য নিরপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা সৈয়দ শারাফারাজ হোসেনসহ ভোক্তা ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং অভিযানে সহায়তা করেন আনসার সদস্যরা।