তিন দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন
আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় লাখো মানুষের ঢল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৫৪:১১ অপরাহ্ন
পুলিশের ৩ মামলায় আসামি ১৪৭৬ ।। ২৭ জন গ্রেফতার
ডাক ডেস্ক : চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিয়াতুল ফালাহ ময়দান, আদালত চত্বর ও নিউ মার্কেট চত্বরে তিন দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। আবেগাপ্লুত ছাত্র-জনতা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। প্রতিবাদী সমাবেশ হয় টাইগার পাস মোড়ে।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, এই হত্যাকান্ডে জড়িতরা একটি বাইরের দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। খুনিরা পার পাবে না।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের লাশ আনা হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বেলা দেড়টায় নিউ মার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা।
জানাজায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবান হাসনাত আবদুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। আমরা সংযত থাকব। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু মহত্ত¡। আমরা শোকে ভেঙে পড়ব না। শোকে আমরা স্টিলের মতো শক্ত হব।
বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, সে যেই হয়ে থাকুক আমরা প্রতিহত করব।’
নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস উসকানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।’
গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবান হাসনাত আবদুল্লাহ। মিছিলটি নগরীর টাইগারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি উপস্থিত ছিলেন।
টাইগারপাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে।’ তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই নাই, আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে, আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়েছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে। যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে। যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।
জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়।
সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেব?
। আমরা কি এই জঙ্গি ইসকনকে ছেড়ে দেব?। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।
বাংলাদেশের প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাদের সমূলে নির্মূল করতে হবে।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাবব না।
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদকে বলেন, ‘এই দেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার নগরের কোতোয়ালী থানা পুলিশের করা এসব মামলায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো আইনজীবী হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ২০ জন পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং ৭ জন আইনজীবী আলিফ হত্যায় জড়িত।
এদিকে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা ও দাফন শেষে চট্টগ্রাম নগরে ফিরছেন তার পরিবার এবং সহকর্মীরা। তবে হত্যার ঘটনায় বুধবারই তারা মামলা করছেন না। মামলার বিষয়ে ওই আইনজীবীর পরিবার এবং সহকর্মীরা মিলে রাতে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের তিন মামলায় আসামি ১৪৭৬
নগর পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরতদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ১২ জন সদস্যও আহত হন। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় পুলিশের ব্যবহƒত একটি গাড়িও।
জানা গেছে, নগরের কোতোয়ালী থানার আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম সিনেমা হল এবং কোতোয়ালী মোড় এই তিন এলাকাতে পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পৃথক তিন ঘটনায় পৃথকভাবে কোতোয়ালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
এসব মামলায় আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬শ’ থেকে ৭শ’ জন, রঙ্গম সিনেমা হলের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনকে এজাহারনামীয় করে অজ্ঞাত ৩শ’ থেকে ৪শ’ জন এবং কোতোয়ালী মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াই’শ থেকে ৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেই ৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা অন্যদিকে, পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওইসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
তারা বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে মিছিল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছিলেন।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, ‘মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে গ্রেফতার আসামিরা একটি মিছিল আয়োজন করে। আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে তাদের গ্রেফতার করি। তাদের কাছ থেকে ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। মিছিলের আড়ালে আওয়ামী লীগের লোকজনদের সংগঠিত করছিলো তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিনজনের সম্পৃক্ততা মিলেছে। ওই তিনজনসহ মোট ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গতকাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কোতোয়ালীতে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘আমাদের যে মামলা নেওয়ার সেটি নিয়েছি। ওনারা (কোতোয়ালী পুলিশ) যদি সম্পৃক্ততা পায় তাহলে তারা তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখাবে।
গ্রেফতাররা হলেন- মিরসরাই উপজেলার ১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবু হেনা (৪২), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোমিনুল ইসলাম (৩৪), মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াছিন উল্লাহ (৪৪), খৈয়াছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ (৪৮), সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন খান (৪৮) এবং ফয়স লেক বেইজক্যাম্পের জিপলাইন অপারেটর যুবলীগকর্মী আব্দুর রহিম (৩২)।
এক শিক্ষার্থী বহিষ্কার
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম শুভ কান্তি দাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এস এম সোয়েব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার।
হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
গতকাল বুধবার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন আদালত। পরে তার ভক্ত ও অনুসারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের অদূরে রঙ্গম সিনেমার কাছাকাছি স্থানে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের হাতে নবীন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম দুর্ভাগ্যজনক হত্যাকান্ডের শিকার হন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
‘এমন ঘটনায় নিরপরাধ কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারেও সচেতন ভূমিকা পালনের জন্য প্রশাসনকে আহবান জানানো হচ্ছে। পরিষদ এ ব্যাপারে নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।’