সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কুস্তিখেলায় বিজয়ী সদর উপজেলা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫:০৭:৪৭ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কুস্তিখেলা। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ফিরেয়ে আনতে জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে আন্তঃ উপজেলা কুস্তিখেলার আয়োজন করা হয়।
এতে জেলার পাঁচটি উপজেলার খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এই কুস্তিখেলা দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হন হাজারো মানুষ। সকালে খেলা শুরু হয় উৎসবের আমেজের মধ্য দিয়ে। গ্রামীণ এই খেলার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারা সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মাঠে আসা দর্শক ও খেলোয়াড়রা। সকালে আন্তঃ উপজেলা কুস্তিখেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
গ্রামীণ কুস্তিখেলাকে এগিয়ে নিতে সরকারি পৃষ্টপোষকতার কথা জানান তিনি। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। আন্তঃ উপজেলা কুস্তিখেলায় একে একে জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামলাগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার শতাধিক খেলোয়াড়রা লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। দুপুরে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় সদর উপজেলার সাথে মুখোমুখি হয় তাহিরপুর উপজেলা।
খেলার প্রথমভাগে দুই দলের খেলোয়াড়দের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও শেষদিকে সদর উপজেলার খেলোয়াড়রা অসাধারণ নৈপুণ্যের মাধ্যমে ৩-১ এর ব্যবধানে বিজয়ী হয়। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেডক্রিসেন্টের বাংলাদেশের সদস্য নুরুল ইসলাম সাজু, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আল আমীনসহ ক্রীড়া সংস্থার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আন্তঃ উপজেলা কুস্তিখেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লা আল নোমান জানান, কুস্তিখেলা গ্রামবাংলার একটি জনপ্রিয় খেলা।
আমরা চাই এই কুস্তিখেলাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। তাই প্রতি বছর আমাদের এই আয়োজন। ভবিষ্যতে এর ধারা অব্যাহত রাখতে ক্রীড়া সংস্থা বদ্ধপরিকর।