বিশ্বনাথে চাচার বসতঘর থেকে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৪৭:৪১ অপরাহ্ন
পরিবারের সদস্যদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ
বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বনাথে চাচার বসতঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম সাইম আহমদ (১৬)। সে ওই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের কনিষ্ঠ পুত্র।
এদিকে নিহত কিশোরের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ৯টায় বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের তাহির মিয়ার বসতঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাইম আহমদকে। পরে দ্রুত তাকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গভীর রাত পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চালায়। তবে, এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকান্ড প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় সাইমের বাবার চাচাতো ভাই তাহির মিয়া, তার স্ত্রী রুেেবনা বেগম ও বোন নিলুফা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহির মিয়া সাইমের চাচা (পিতার চাচাতো ভাই) হওয়ায় তিনি তাদের বাড়িতেই থাকতেন এবং সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করতেন।
ঘটনার দিন বিকেলে তাহির মিয়ার স্ত্রী সাইমকে বাড়িতে রেখে পাশের নিজেদের পুরোনো বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় তাহির মিয়া উপজেলা সদরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে গৃহকর্ত্রী বাড়ি ফিরে গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে সাইমের কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি তাহির মিয়াকে ফোন করেন। পরে তাহির মিয়া বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সাইমকে দেখতে পান। অচেতন অবস্থায় বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামানের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ময়নাতদন্তের জন্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে নিহত কিশোর সাইমের মা রত্মা বেগম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে বাড়ির মালিক ও ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।