সিলেটে বিস্ফোরক আইনে আরেক মামলা
আনোয়ার, নাদেল, রঞ্জিত, মোমেনের এপিএসসহ আসামী ৯০ জন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৪৪:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম নাদেল, রঞ্জিত সরকার, শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস কায়েস চৌধুরীসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নগরীর তোপখানা সুরমা ভ্যালী ১৩৬ এর বাসিন্দা রাশেদ আহমদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন মামলাটি আমলে নিয়ে কতোয়ালী থানার ওসিকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯০ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০জনকে আসামি করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ জানান, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, রঞ্জিত সরকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এর এপিএস কায়েছ চৌধুরী, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আব্দুল হাফিজের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওরফে পাথর শামীম সহ ৯০ জনসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর সুরমা মার্কেট পুলেরমুখ এলাকায় সম্মুখে ১নং আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা অবস্থান করছিলো। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটি মোটরসাইকেল মিছিল বের করে ভিকটিমসহ অন্যান্যরা।
মোটরসাইকেল মিছিল আসতে দেখেই গুলিবর্ষণ করতে থাকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা। এতে ভিকটিম তথা মামলার বাদী রাশেদ আহমদের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা বিদীর্ণ হয়ে যায়।
এরপর মাটিতে পড়ে গেলে অপর আসামীরা উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাদী রাশেদ পঙ্গুত্ববরণ করতে যাচ্ছেন। তিনি এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কতোয়ালী থানার ওসি মো: জিয়াউল হক জানান, তাদের কাছে এমন কোন আদেশ যায়নি, তবে দাপ্তরিক পন্থায় এজাহার পৌঁছতে এক দুই দিন সময় লাগে। এজাহার পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।