কেমুসাস বইমেলায় কবিতা পাঠের আসর
বিপ্লবে কবি-সাহিত্যিকদের ভূমিকা ছিল অনুপ্রেরণার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০৮:২৯ অপরাহ্ন
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ-এর সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ছাত্রজনতা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বুক সটান করে দাঁড়িয়েছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে শহীদ আবু সাঈদ সবাইকে পথ দেখিয়েছেন।
জুলাই বিপ্লবে কবি-সাহিত্যিকদের ভূমিকা ছিল অনুপ্রেরণার। তাদের প্রতিবাদী লেখা জাতির মধ্যে উজ্জীবনী শক্তি সৃষ্টি করেছিল। যা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়তে সবাইকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর উদ্যোগে অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলায় জুলাই ভাবনা ও বিপ্লবী কবিতা পাঠের আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেমুসাস বইমেলা মঞ্চে এই আসর অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদের সহসভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং বইমেলা উপকমিটির সদস্য কামরুল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কবি লে. কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, বিশিষ্ট কবি নিজাম উদ্দিন সালেহ, কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু, সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য কবি কামাল তৈয়ব।
সংসদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ছড়াকার জহুর মুনিম এবং গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী আহমেদ কায়েস।
এই আসরে কবি-সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আসরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ এবং আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে জুলাই ভাবনা ও বিপ্লবী কবিতা পাঠে অংশগ্রহণকারী কবিদেরকে সম্মানী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
সাহিত্য আসরে জুলাই ভাবনা ও বিপ্লবী কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি ড. মোহাম্মদ শাহাদাত চৌধুরী, কবি বাছিত ইবনে হাবীব, কবি নাজমুল আনসারী, কবি মামুন সুলতান, কবি ইশরাক জাহান জেলী, কবি এখলাসুর রহমান, কবি কামরুল আলম, কবি নূর মোহাম্মদ চৌধুরী মুবিন, কবি শামসীর হারুনুর রশিদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেন, ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার চেতনার বাণী শুনিয়ে জাতিকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রজনতা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা আর সংগ্রামে জাতি মুক্তি লাভ করে। কবি-সাহিত্যিকদেরকে এই মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সাহিত্যচর্চা করতে হবে।