বিসিসি’র প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
ক্যারিয়ার হিসেবে প্রোগ্রামিং একটি অতি উচ্চ মানের পেশা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৫, ৪:৫৭:২৬ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: ক্যারিয়ার হিসেবে প্রোগ্রামিং একটি অতি উচ্চ মানের পেশা। এখানে যেমন বেশি আয় করার সুযোগ থাকে তেমনি উন্নত জীবন পরিচালনা করা যায়। যে কারণে ক্যারিয়ার হিসেবে প্রোগ্রামিং প্রতিটি তরুণ-তরুণীর সর্বপ্রথম চয়েজ। প্রোগ্রামিং শিখে ইনহাউজ চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে তরুণদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত করে দেশকে অগ্রগামী করে তুলতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের তরুণরা বিসিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে তৈরীর সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন।
শনিবার নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ বিসিসির কার্যালয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), আঞ্চলিক কার্যালয়, সিলেটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো: মাসুম এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিসি প্রধান কার্যালয় হতে আগত ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাফিসা তাসনিম।
এদিকে, প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারজানা তাবাসসুম এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে মুরারিচাঁদ কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আমিন আরিফ। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম) ৬০ জন এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে (৯ম থেকে দ্বাদশ) ৪০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
এ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র গ্রুপে (আইসিটি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা) ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীকে যথাক্রমে পাঁচ হাজার, চার হাজার ও তিন হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট এবং সিনিয়র গ্রুপে (প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা) ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীকে যথাক্রমে দশ হাজার, আট হাজার ও ছয় হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, অনলাইন মাধ্যমে ৪৪৭ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্বে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ৬০ জন এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে ৪০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করা হয়।