ছাতকে সংবাদ সম্মেলন
শাহ আরেফিন নামীয় পীরস্থানের ভূমি জবর দখলের চেষ্টা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৩২:৪৮ অপরাহ্ন

ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের ছাতকে শাহ আরেফিন (রঃ)’র মোকাম ও তৎসংলগ্ন কবরস্থানসহ পীরস্থানের ভূমি জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে একটি ভূমি খেকোচক্র। এমন অভিযোগ এনে ছাতক প্রেসক্লাবে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহরের ফকির টিলাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতিমধ্যেই ভূমি দখলে নিতে মোকাম পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের উপর হামলাসহ আদালতে পৃথক দু’টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে এ চক্র। এ নিয়ে দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ। হযরত শাহজালালের সফরসঙ্গী আউলিয়া ও দরবেশ হযরত সুলতান শাহ আরেফিন(রঃ)’র ছাতক শহরের ফকিরটিলা এলাকায় মোকাম ও কবরস্থান রয়েছে। ওই স্থানটি সরকারী রেকর্ডপত্রসহ এলাকার মানুষের কাছে পীরস্থান হিসেবে পরিচিত। যুগ-যুগ ধরে এ পবিত্রস্থান একটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে এর উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সর্বজন স্বীকৃত এ পীরস্থানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ লোকজন আসেন মাজার জিয়ারত করতে। কখনো কোনদিন মোকাম, কবরস্থান ও পীরস্থানে ভুমি নিয়ে কেউ মালিকানা দাবি করতে আসেনি। সম্প্রতি ছাতক শহরের বাগবাড়ির আব্দুস সোবহানের পুত্র আব্দুস শহীদ মনা পীরস্থানের ভূমির মালিকানা দাবি করে জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এলাকাবাসীর প্রতিবাদে জোর দখলে ব্যর্থ হয়ে মোকাম পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজীসহ পৃথক দুটি সাজানো মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি মোকামের পবিত্রতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে মোকামের বাউন্ডারী কাজ শুরু করেন পরিচালনা কমিটি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুস শহীদ মনা দেয়াল নির্মাণে বাধা-বিপত্তি ও নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এনিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ৭ জানুয়ারী উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সালিশ-বৈঠকে বসেন। এসময় কাগজ-পত্র পর্যালোচনা করে বিরোধকৃত ভূমি নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নামজারী রেকর্ড সংশোধনের জন্য নামজারী রিভিউ মামলা চলমান থাকায় সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা সমাপ্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফকির টিলা গ্রামের বাসিন্দা কয়েছ মিয়া। এসময় পৌর কাউন্সিলর নাজিমুল হক, সাবেক মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলকাছ আলী, বাহারুল হক, সামছুর রহমান বাবুল, বখতিয়ার হোসেন, ফরিদ মিয়া, শাহ আলম, মোজাম্মেল হক রুহেল, জামাল মিয়া, শাহিন মিয়া, ফারুক মিয়া, মোকমের খাদেম ফকির আলী আহমদ, সমুজ মিয়াসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।