ছাতকে ১৪ শিক্ষক শিক্ষিকাকে শো-কজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২৩, ৬:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন
ছাতক সুনামগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: ছাতকে সময়মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকার অভিযোগে ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া লিখিতভাবে তাদের শো-কজ করেন। যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকার কারণে ৬ জন প্রধান শিক্ষক ও ৮ জন সহকারী শিক্ষককে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (সময়মত উপস্থিত) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী শোকজ করা হয়। শোকজের নোটিশ এরই মধ্যে তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোটিশ প্রদানের ৭ কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। অন্যথায় এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও নোটিশে বলা হয়। যেসব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন, রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরতুজ আলী, কামরাঙ্গি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুকিত, সদুখালী-নোয়াগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরিফা বেগম, গদারমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহীনা আক্তার, বড়পলিরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তুলসী রানী দেবনাথ, চরবাড়–কা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পান্না বেগম, গোয়ালগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুমেনা বেগম, সৈদেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ, গদারমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুধাংশু শেখর দাস, সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ, ভাতগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নসিরা বেগম, ছৈলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা হাসনা বেগম ও গনিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাবিনা বেগম।
সোমবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের অবস্থান জানতে চান। এসময় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি মোবাইল হোয়াটসআপের মাধ্যমে ভিডিও দেখাতে বলা হয়। অভিযুক্ত ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যথাসময়ে বিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় গণকর্মচারী শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের শোকজ করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, শিক্ষার মানোন্নয়নে ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।