সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল

কুলাউড়া অফিস : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার।
এ উপলক্ষে কাল কুলাউড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বার ১৯৬২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরী, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও শোভাযাত্রা করার কারণে গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কুলাউড়া শহরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৬-এর ছয় দফা, ‘৬৮’র আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ‘৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া, তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর, আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এর প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করলে আবারও ঈদুল আযহার রাতে তিনি গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অন্যতম খুনি মেজর নূর কারাভ্যন্তরে তাঁকে রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে এবং ভোরে ব্রাশ ফায়ার করতে উদ্যত হলে মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করলে আবারও তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।’
বাণীতে তিনি আরো বলেন, ‘জনাব আব্দুল জব্বারকে জাতির পিতা বিশেষ স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি ও মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। অন্যায়-অবিচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে তিনি সংগ্রাম করেছেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান আব্দুল জব্বারের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।