শায়েস্তাগঞ্জে রেললাইনের পাশে ময়লার ভাগাড়, দেখার কেউ নেই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২৪, ৪:৩১:৩৬ অপরাহ্ন
![শায়েস্তাগঞ্জে রেললাইনের পাশে ময়লার ভাগাড়, দেখার কেউ নেই শায়েস্তাগঞ্জে রেললাইনের পাশে ময়লার ভাগাড়, দেখার কেউ নেই](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2024/05/66-768x434.jpg)
মো. ফিরুজুল ইসলাম চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাধীন দাউদনগর বাজার সংলগ্ন রেললাইনের আশপাশ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মাছ, মাংস ও কাঁচাবাজারের উচ্ছিষ্ট এখানে ফেলা হয়। ফলে পঁচা গন্ধ ছড়ায় ও রোগ-জীবাণুর সৃষ্টি হয়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দেখার কেউ নেই।
দাউদনগর বাজারে কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। ফলে ময়লার ভাগাড়ে জন্ম নেয়া বায়ুবাহিত রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সরজমিনে দেখা যায়, পৌরসভাধীন দাউদনগর বাজার ঘেঁষে চলে গেছে ঢাকা-সিলেট রেলপথ। বাজারের প্রয়োজনে স্থাপিত কাঁচা-পাকা নর্দমাগুলোতে পানি মিশ্রিত বর্জ্য দীর্ঘদিন জমে থাকায় সেখানে পূঁতি গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নর্দমার বর্জ্য ও রেললাইনের পাশে স্তূপ করে ফেলা বর্জ্য থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করেছে।
দাউদনগর বাজারের পাশেই রয়েছে একটি রেলক্রসিং। এটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সিএনজি ও রিক্সা স্ট্যান্ড আর হোটেলসহ অর্ধশত দোকানপাট। সেখানে দিনব্যাপী অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। সকল শ্রেণির মানুষের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। পাশেই এই ময়লার ভাগাড় যেন একটি গোদের উপর বিষফোঁড়া। বাজার কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই এ বিষয়ে।
বাজারে আসা ক্রেতা মাহমুদ হোসেন জানান, বিভিন্ন রোগবালাই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও জীবিকার তাগিদে বাজারে আসতে হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব অব্যবস্থাপনা অর্থাৎ এসব নর্দমা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও বর্জ্যরে ভাগাড় অপসারণ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
নারী ক্রেতা মৌসুমী জানান, বাজারের আশপাশের ময়লার ভাগাড় অস্বাস্থ্যকর। তবে বেশি অস্বাস্থ্যকর ড্রেনগুলো। এগুলো মশা-মাছিসহ নানান প্রজাতির রোগ-জীবাণুবাহী কীটপতঙ্গ প্রজননের স্থান। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।