জামালগঞ্জে স্কুলবিহীন ৩৩টি গ্রাম, ঝড়ে পড়েছে ৪ হাজার শিক্ষার্থী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২৪, ৩:৩০:৪৭ অপরাহ্ন
জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যালয় বিহীন রয়েছে ছোট বড় ৩৩টি গ্রাম। এ সব গ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় সহস্রাধিক। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৩২,৪৬০ জন। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৩৫% ঝরে পড়া শিশু। সম্প্রতি নব নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ উপজেলায় ৬২৪ জন শিক্ষক রয়েছেন।
সূত্র জানায়, উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রসুলপুর, বিজয়নগর, ভেদারপুর, জলিলপুর, আব্দুল্লাহপুর, বেহেলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া, সহদেবপুর, রহিমাপুর, নিতাইপুর, আরশীনগর, বাগানী, কুমরিয়া, প্রকাশনগর, রহমতপুর, ভীমখালী ইউনিয়নের বড়ঘাগটিয়া, গোলামীপুর, চান্দেরনগর, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের মুমিনপুর, ইনচানপুর, হোসেনপুর, ঝুনুপুর, মুসলিমপুর, মাছুমপুর, সদরকান্দি, পূর্ব কালীপুর, পশ্চিম কালীপুরসহ ৩৩টি গ্রামে নেই কোন বিদ্যালয়।
গ্রামগুলোতে স্কুল না থাকায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুরা ক্ষেত খামারে, হোটেল- রেস্তোরাঁয়, এমনকি মৎস্য আহরণে হাওরে দিন কাটাচ্ছে এবং ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত হচ্ছে, শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাাচ্ছে।
উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রাব্বি জাহান জানান, দুই হাজার জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করার বিধান রয়েছে, এখানে প্রতিটি গ্রাম ছোট ও বিচ্ছিন্ন এবং জনসংখ্যা কম থাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো সম্ভব হচ্ছেনা। যেগুলো সম্ভব তা নিয়ে অর্থাৎ ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রসুলপুর, যশমন্তপুর, ভীমখালী ইউনিয়নের চান্দের নগর, উত্তর ইউনিয়নের সদরকান্দি, হোসেনপুর, মুমিনপুর ও সাচনাবাজার ইউনিয়নের নূরপুর আশ্রায়ণ প্রকল্পসহ ৭টি গ্রামে স্কুলের জন্যে গত বছরের ২৫ মে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। করোনা মহামারীর পর থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে ঝরে পড়া রোধ করতে প্রত্যেক শিক্ষককে সঠিকভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের নির্দেশ দেয়া আছে।