দি অপ্টিমিস্ট-এর বৃত্তি বিতরণ
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আচরণে হতে হবে স্মার্ট ———–শেখ রাসেল হাসান

ডাক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন দি অপ্টিমিস্ট-এর উদ্যোগে সিলেটে ২২ লক্ষ টাকার বৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ১৬৮ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা এবং বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে ৫ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ২৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেছেন, “নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখতে হবে এবং অধ্যাবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণের শিক্ষা দিতে হবে। পরিশ্রমই আমাদেরকে এগিয়ে নেবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভাইবোনদের সংগঠন অপটিমিস্ট সক্রিয় সহযোগিতার যে নজির স্থাপন করেছে, এটা আমাদের সকলের জন্য অনুসরণযোগ্য।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছি, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর হবে আজকের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জ্ঞানে বিজ্ঞানে আচরণে শিক্ষার্থীদেরকে হতে হবে স্মার্ট।

নগরীর সৈয়দ হাতিম আলী হাই স্কুলের হলরুমে আয়োজিত বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে অপটিমিস্টের ডিস্ট্রিক্ট ডাইরেক্টর প্রফেসর মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে ও অপটিমিস্ট সিলেটের প্রেস এন্ড কমিউনিকেশন ডাইরেক্টর সাংবাদিক আবদুল বাতিন ফয়সলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম আতাউর রহমান পীর, সাংবাদিক কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি মন্জুর আহমদ চৌধুরী, খায়ের আহমদ ফকু চৌধুরী, সৈয়দ হাতিম আলী হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ সালমা বেগম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন অপটিমিস্ট সিলেটের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ফাইন্যান্স প্রফেসর ড. সুলতান আহমদ, প্ল্যানিং ডাইরেক্টর এলাইছ মিয়া, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ মালেক চৌধুরী, অভিভাবকদের পক্ষে ভাদেশ^র কুড়ির বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সূবর্না ধর, খান চা বাগানের শ্রমিকনেতা সুজিত বাড়াইক, শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তাইয়িবা আক্তার ও আবুল ক্বাওছার জাকারিয়া, ভলান্টিয়ার রোমান আহমদ নোশাদ, আইনুল হক, কাজী জুবের আহমদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী সিদ্দিকা জান্নাত ও গীতা পাঠ করে শিক্ষার্থী হৃদয়রাম চন্দ মিদুল।