বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে যা জানাল মালয়েশিয়া
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪:৩২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার। তবে এ চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। শ্রমিকশোষণ বন্ধ এবং শ্রমবাজারে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে— সেটি দূরীকরণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং নেপালের শ্রমিকরা সেখানে প্রতারণার শিকার হওয়ায় এই ঘোষণা এসেছে দেশটির পক্ষ থেকে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর থেকে অসংখ্য শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি এবং নেপালি, তারা মালয়েশিয়ায় আসার পর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এসব শ্রমিকের কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায় করে মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসেছে অসাধু চক্র। কিন্তু দেশটিতে আসার পর তাদের বলা হয়েছে, যে কাজের জন্য তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে; সে কাজ আপাতত নেই। ফলে অনেক অর্থ খরচ করে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বেকার জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের শোষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যেই আবার নতুন সমস্যা হয়ে এসেছে শ্রমবাজারের ভারসাম্যহীনতা। জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়েছে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনেক শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাদের কোনো ধরনের বেতনও দেওয়া হচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা জানান, মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে শ্রমিক বন্টনের বিষয়টি বর্তমানে অসম। এ কারণে এখন তাদের শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি পর্যালোচনা করতে হবে।
তারা আরও জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় এখনো কৃষি ও বনায়ন খাতে শ্রমিক সংকট থাকলেও; অন্যান্য খাতে চাকরির তুলনায় শ্রমিক বেশি হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ঈসমাইল বলেছেন, ‘আমরা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করব। যারমধ্যে থাকবে ফি, খরচ, চুক্তির অবস্থা, স্বাস্থগতসহ অন্যান্য বিষয়।’ তিনি জানিয়েছেন, সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোটা পরিবর্তনের সুযোগ দেবে।
মালয়েশিয়ায় যেসব বিদেশি শ্রমিক রয়েছে তার ৭০ শতাংশই বাংলাদেশি, নেপালি এবং ইন্দোনেশিয়ার। বাকি শ্রমিকরা গেছেন ভারত, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ড থেকে।
অপরদিকে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টেভেন সিম জানিয়েছেন, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শেষ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান চাকরির কথা বলে মালয়েশিয়ায় কয়েকশ শ্রমিক এনেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা কোনো চাকরি পাননি।
তিনি বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এসব শ্রমিকদের এনেছে তাদের কাজ না দিতে পারলেও; বেতন দিতে হবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান আইন ভঙ্গ করেছে তাদের শ্রমিক আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।