৭ একরের বৃক্ষের চারা পুড়ে ছাই
জৈন্তাপুরে চা-বাগানের ভূমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২:২৮:৩৩ অপরাহ্ন
জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল আফিফানগর চা-বাগানের বনভূমি দখলের অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে স্থানীয় একটি মহল। চা-বাগানের জায়গা দখল চেষ্টার ব্যাপারে বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ জাফর ইউসুফ জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি লালাখাল আফিফানগর চা-বাগানের লিজের অন্তর্ভুক্ত তুমরপুঞ্জি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার সেকশন ৬ ও ৮নং এলাকার মধ্যবর্তী টিলায় অন্তত ৭ একর জায়গা দখল করার উদ্দেশ্যে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে বৃক্ষের চারা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাগানের চা-পাতা উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাহাড়ের উপরভাগে সংরক্ষিত বনভূমি থাকা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় একটি মহল এই সুযোগে রাতে সংরক্ষিত বনভূমিতে আগুন লাগিয়ে বাগানের লিজের অন্তর্ভুক্ত ভূমি দখলের অপচেষ্টা চালায়।
সরজমিনে দেখা গেছে, আফিফানগর চা-বাগানের পাহাড়-টিলার সমতল অংশে চা-পাতা উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বাগান কর্তৃপক্ষ সমতল অংশে চা গাছ লাগিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পর্যায়েক্রমে জঙ্গল পরিষ্কার করে চা গাছ রোপণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারি বিধান মতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে পাহাড়ের উপর অংশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় একটি মহল চা-বাগানের ভূমি দখলের চেষ্টায় জড়িত রয়েছেন। এছাড়া, বিগত ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর উত্তর বাগছড়া ও তেলাঞ্জি এলাকায় চা-বাগানের লিজভুক্ত ভূমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল।
বাগান ব্যবস্থাপক সৈয়দ জাফর ইউসুফ জানান, তুমরপুঞ্জি এলাকায় লালাখাল চা-বাগানের লিজভুক্ত প্রায় ৭’শ একর ভূমি রয়েছে। এসব জায়গায় চা-গাছ রোপণ প্রক্রিয়া চলমান। বিভিন্ন সময়ে বনভূমি ধ্বংস করে একটি মহল আগুন দিয়ে বাগান জ্বালিয়ে ভূমি দখলের চেষ্টা করছে। সম্প্রতি তুমরপুঞ্জি এলাকায় অন্তত ৭ একর জায়গা আগুনে পুড়িয়ে বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।