গোলাপগঞ্জে ৩০ বছরের ইমামতি শেষে ইমামকে রাজকীয় বিদায়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১:৫৭:২৪ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ ৩০ বছরের ইমামতি শেষে রাজকীয়ভাবে ইমামকে বিদায় দিয়েছেন মুসল্লিরা। ইমামকে ফুল সজ্জিত প্রাইভেট গাড়িতে বসিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে সম্মানের সাথে পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে।
গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গোলাপগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ফুলবাড়ি পূর্ব জামে (বড়মোকাম) মসজিদে এ আয়োজন করা হয়। শতশত মুসল্লিরা ইমামকে বিদায় বেলা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও বিদায় বেলা তার হাতে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এরপর ফুল সজ্জিত ছাদ খোলা প্রাইভেট গাড়িতে বসিয়ে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সম্মানের সাথে ইমামকে বাড়ি পৌঁছে দেন এলাকাবাসী।
বিদায়ী ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল হালিম (৫৮) সদর ইউনিয়নের গীর্দ্দ গ্রামের মরহুম মতছির আলীর ২য় পুত্র। বিদায় বেলা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল হালিম। এসময় তিনি বলেন, জীবনের দীর্ঘ সময় ইমামতি করেছি, এমন আয়োজনে খুবই মুগ্ধ হয়েছি। আমি আপনাদের কাছ থেকে কেবল নিয়েছি দিতে পারি নাই। আমি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি, কতটুকু পেরেছি জানি না।
জানা যায়, আলহাজ্ব মাওলানা আবদুল হালিম ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া বড় মোকাম জামে মসজিদে ইমামতি করেন টানা ৩০ বছর। এর আগে এলাকার তিনটি মসজিদে কিছু দিন ইমামতি করেছেন। দীর্ঘদিন ইমামতিতে থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন পূর্বে হার্টে রিং স্থাপন করা হয়। এ কারণে অবসর নিয়েছেন তিনি। অবসরে যাওয়ায় এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা বিশেষ সম্মান জানিয়ে রাজকীয় বিদায় দিলেন তাকে।
ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া বড় মোকাম জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। কেননা আমরা আমাদের আত্মার আত্মীয়কে বিদায় দিচ্ছি, যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর দ্বীনি শিক্ষায় আমাদের আলোকিত করেছেন। তার বিদায়ে আমরা ব্যথিত।