ভোট দিতে পারবেন না বিশ্বনাথে দুই গ্রামের বাসিন্দারা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৪, ১২:৫৮:২৪ অপরাহ্ন
বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথে নির্বাচন অফিস তথা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে ৮ মে অনুষ্ঠিত ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে’ এবার ভোট দিতে পারবেন না উপজেলার ‘গঙ্গাধরপুর’ নামের দুই গ্রামের বাসিন্দারা। এর প্রতিবাদ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন এলাকার সাধারণ ভোটাররা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ পৌরসভার অন্তর্গত ৮নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর (মশুলা) গ্রামের ভোটার তালিকা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ভোটার তালিকার সাথে ভুলবশত অদল-বদল হওয়ায় নিজস্ব ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন না গ্রাম দুটির ভোটাররা। সদ্য সম্পন্ন হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি দুই গ্রামের ভোটাররা। এরপূর্বে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বনাথ পৌরসভা’র নির্বাচনেও একই সমস্যা ঘটলে অভিযোগ করা হয়। তা তাৎক্ষণিক সংশোধন করা হলে নিজের কেন্দ্রেই ভোট দেন এই গ্রাম দু’টির বাসিন্দারা। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে আবারও সেই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা পাননি তারা।
এরপর সংশোধনের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বলেন আগামী নির্বাচনের সময় ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে ভোটার তালিকা ঠিক থাকলেও ভোটকেন্দ্রের সিটে দেখা যায় শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৫নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ৫ ভোট ও ৮নং ওয়ার্ডের গঙ্গাধরপুর গ্রামের ৬৪ ভোট ৫নং ওয়ার্ডের দূর্যাকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। এজন্য দুই গ্রামের ভোটাররা ভোট দিতে চাইলে ৯ কিলোমিটার দূরে একে অন্যের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়ার দাবিতে আজ মঙ্গলবার উপজেলা সদরে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন গঙ্গাধরপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এ বিষয়ে গ্রামের পক্ষে বিজয় দে ও সোহেল আহমদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা শ্রীধরপুর ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আসছি। পৌর নির্বাচন থেকে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা বার বার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করছি, ধর্ণা দিয়েছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু বিষয়টি সমাধানে কর্ণপাত করছেন না কেউই। আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চাই, অযথা ওই হয়রানি চাই না।