ওসমানীনগরের শেরপুর সেতুতে ভাঙন, ঝুঁকিতে যান চলাচল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২৪, ৫:২৭:২০ অপরাহ্ন
মো. কয়েছ মিয়া, ওসমানীনগর থেকে: ওসমানীনগরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর সেতুর নিচ দিকের আরসিসি ধ্বসে রড বেরিয়েছে। আবার, সেতুর উপরের একাধিক স্থান ভেঙে দেবে গেছে। এসব কারণে সেতুর একপাশ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
সেতুটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এছাড়াও সেতুর নিচ দিয়ে শেরপুর-সৈয়দপুর রাস্তা দিয়ে ৮/১০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। গত দুই দিন থেকে সেই রাস্তায় সেতুর আরসিসির ঢালাই টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে। দ্রুত সেতুটির সংস্কার কাজ না হলে যাত্রী নিয়ে যানবাহন সেতুতে দেবে গিয়ে নদীতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে করে মহসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে সারা দেশের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাত ১২টায় হঠাৎ করে সেতুর উত্তরপারের দক্ষিণ অংশের নিচের আরসিসি ঢালাই ভেঙে পড়তে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাহেদ আহমদ মুছা, ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক ও শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি পরিমল দেব সেতু পরিদর্শন করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন সিলেটের প্রবেশ দ্বার শেরপুর সেতু পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সেতুর উত্তরপাড়ের ওসমানীনগর অংশের কিছু জায়গা উপরের দিকে ভেঙে গিয়ে দেবে গেছে। একই স্থানের সেতুর নিচের দিকের বেশ কিছু অংশ আরসিসি ঢালাই ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে গেছে। এ কারণে সেতুর ঢালাইয়ের রড বেরিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বস্তা ও প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড দিয়ে ভাঙা অংশসহ একপাশে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সেতুতে যখন যানবাহন চলাচল করে পুরো সেতুতে কাঁপনের সৃষ্টি হয়।
শেরপুর সৈয়দপুর গ্রামের আনোয়ার আলী বলেন, তাজপুর-সৈয়দপুর রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাবার পথে সোমবার রাতে শেরপুর সেতুর নিচে আশামাত্র হঠাৎ করে সেতুর বড় একটুকরো পাকা ঢালাই ভেঙে মাটিতে পড়ে। অল্পের জন্য আমি রক্ষা পেয়েছি। আমাদের এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করছেন। যেকোনো সময় সেতুর ঢালাই (পলেস্তরা) ভেঙে পড়ার ভয়ে আছি।
সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি সাহেদ আহমদ মুছা বলেন, সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাই। ঘটনা সত্য হওয়াতে এলাকার মানুষ আতংঙ্কে রয়েছেন। দ্রুত সেতুর সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই। অতি দ্রুত সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।