জাতীয় কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেমুসাসে আলোচনাসভা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪, ৮:২৬:২১ অপরাহ্ন
বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলামের রচনা সম্ভার শুধু বাংলা ভাষীদের জন্য নয়, বিশ্বসাহিত্যেরও অমূল্য সম্পদ। মাত্র তেইশ বছরের সাহিত্যজীবনে তিনি যা সৃজন করে গেছেন, তাঁর জীবদ্দশায় এগুলো ইংরেজিতে অনুদিত হলে নিশ্চিত তিনি নোবেল পুরস্কার পেতেন। তিনি নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকদিন বেঁচেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের অধ্যাপকেরা কবির রচনাবলী অনুবাদ করে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু।
কেমুসাসের পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে ১১৯৫ তম সাহিত্য আসর ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কবি বাছিত ইবনে হাবীব ও কেমুসাসের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ফায়যুর রাহমান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি মানসে চিরস্থায়ী হয়ে আছেন।
যতদিন বাংলা সাহিত্য থাকবে, ততদিন তিনি আমাদের সাহিত্যে প্রাসঙ্গিক ও অমর হয়ে থাকবেন। কারণ কাজী নজরুলকে অস্বীকার করে বাংলা সাহিত্যের আলোচনা অসম্ভব।
কবি কামাল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লেখা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন কেমুসাসের সহকারী পাঠাগার সম্পাদক কবি ইছমত হানিফা চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যাংকার কবি মো. আমিনুল ইসলাম, কবি হুসাইন ফাহিম, কবি ছয়ফুল আলম পারুল, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, মকসুদ আহমদ লাল, আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, জুবের আহমদ সার্জন, রাজিয়া সুলতানা, ফাহাদুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল জুনাইদ, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান, শেখ সমরুছ, মো. শোয়েব আহমদ, ছাইদুল হক, মো. কয়েছ মিয়া, সোহেল আহমদ, বাহাউদ্দিন বাহার ও লিলু মিয়া প্রমুখ। আসরের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মো. দিদার আহমদ।-বিজ্ঞপ্তি