গোয়াইনঘাটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭, আটক ৪
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুলাই ২০২৪, ২:৩৬:১৯ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: গোয়াইনঘাট উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৭ টায় পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের খলাগ্রামে আব্দুল লতিফ ও সায়েদ আহমদ পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মন্নান (২৬) খলাগ্রামের কুদরত উল্লাহর পুত্র। আহতরা হলেন একই গ্রামের আব্দুল খালিক ৬০), কুদরত উল্লাহ (৫০), সায়েদ (৩৫), শাহাবুদ্দিন (৩০), আলতাফ (৩৫), মাহমুদ (৬০)। নিহত ও আহতরা প্রত্যেকেই সায়েদের পক্ষের লোকজন। অপর পক্ষে আহত আব্দুল লতিফ (৬৫)।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে সায়েদ আহমদের একটি ছাগল লতিফ মিয়ার বাড়িতে গেলে তার পুত্র আলিম উদ্দিন ছাগলটি ধরে পানিতে ফেলে দেয়। সায়েদ আহমদ এ নিয়ে বিকেলে আলিমকে জিজ্ঞেস করলে লতিফ মিয়ার পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে মারামারির চেষ্টা করেন। গ্রাম্য সালিশগণ বিষয়টি আপোসের চেষ্টা করলেও লতিফ পক্ষ মানেনি। এরপরও গ্রামের মুরুব্বি ইজ্জত উল্লাহ ও ফখরুল ইসলাম পুনরায় লতিফের বাড়িতে যান এবং ইজ্জত উল্লাহ তার পকেট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা আমানতের জন্য লতিফ মিয়াকে প্রদান করেন। এ সময় লতিফ মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সায়েদের পক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষে ৮জন আহত হন। আহতদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নান, খালিক ও লতিফকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং বাকিদের জৈন্তাপুরে চিকিৎসা দেন।
এদিকে, বেলা ২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিওমেক হাসপাতালে মান্নান ইন্তেকাল করেন। এ খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম এসআই কামাল এর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। ধৃতরা হলো, একই গ্রামের লতিফ মিয়ার পুত্র আব্দুল আলিম, কাবির, নাছির ও নুরুল আমিন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ৪ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি, তবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।