বায়তুল মোকাররমের খতিব অপসারিত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০:১৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এ সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়েছে।
জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে– বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন তার দায়িত্ব পালনকালে মাঝে মাঝে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই, ২ আগস্ট, ৯ আগস্ট, ১৬ আগস্ট, ২৩ আগস্ট শুক্রবারের জুমার নামাজে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। গত ২৯ আগস্ট এ নিয়ে তাকে কারণ দর্শানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজ পড়াতে তার মসজিদে আগমন এবং খুতবা দেওয়ার চেষ্টাকালে এক অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তদন্ত কমিটি মুফতি রুহুল আমিন ও তার অনুগত ছাত্র/বহিরাগত লোকদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে জুমার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে একজন যোগ্য আলেমকে খতিব হিসেবে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
এছাড়া, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিনের প্রতি সাধারণ মুসল্লিদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তিনি জুমার নামাজ পড়াতে এলে আবারো হইচই-হট্টগোলসহ অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য সুষ্ঠুভাবে জুমার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ‘খতিব’ পদ থেকে তাকে অপসারণের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন।
উল্লেখ্য, মুফতি রুহুল আমিন গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম। তিনি সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসছিলেন না। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমায় বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এ সময় মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন এবং বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। তখন বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। অনেকেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ শান্ত হলে সোয়া একটায় আবার মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা অবস্থান নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।