সিকৃবি’র প্রক্টর-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন
সিকৃবি প্রতিনিধি : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রক্টর, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসলেও সব দাবি মেনে নেওয়া হয়নি।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে। পরবর্তী বেলা একটা থেকে চারটা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে। তবে, শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও মূল দাবি মেনে নেয় নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধির মধ্যে হাসিবুল হাসান রিশাদ বলেন, আমাদের যে ৮ দফা দাবি সেগুলোর কিছু তারা আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু আমাদের যে মূল দাবি প্রক্টরের পদত্যাগ এটাতে তারা রাজি হয়নি এবং তিন মাস, চার মাস, ছয় মাস লাগবে বলে বিভিন্ন সময় বলেছে। আমরা এটার সাথে একমত নই। আমরা চাচ্ছি প্রক্টরকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত করে তিনি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আলোচনায় যাওয়ার পর অনেক শিক্ষক আকারে ইঙ্গিতে আমাদের হুমকি দিয়েছেন। আমাদের ৩০ জনকে দেখে নিবেন বলেছেন। তারা অনেককে তাদের রুমে ডেকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করেছেন। শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
শিক্ষার্থীদের আট দফার মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা কর্মকর্তাকে সকলের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আরও জোরালো করতে হবে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ভিসিকে রাজনৈতিক ব্যানারে সম্ভাষনকারীদের শাস্তি নিশ্চিতসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। ২৪ অক্টোবর রাতের সংঘর্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত ছাত্রদলের সম্পূর্ণ বিষয় যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে সত্য ও সঠিক বিবৃতি প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অ্যানোনিমাস মার্কিং ও পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১ মাসের মধ্যে ফেলকৃত বিষয়ের ইমপ্রুভ পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শুধু রিক্যারির (একটি বিষয়ে দুবার ফেল) মাধ্যমে ইয়ার ড্রপ ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরে পাশমার্ক নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সার্বক্ষণিক (২৪/৭) খোলা রাখতে হবে।